পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার নতুন বইয়ে সরকারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলোতে মনগড়া ও ভুতুড়ে কথা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশে বসে তিনি (সিনহা) আপন মনে ভুতুড়ে কথা চাপছেন। এটা আমাদের ও দেশের মানুষের বিশ্বাস করতে হবে? এর যৌক্তিকতা নাই।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত একটি মামলার আপিলের রায়কে কেন্দ্র করে সিনহার পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছিল। ওই রায় এবং কিছু পর্যবেক্ষণের কারণে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে ২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে তিনি ছুটি নিয়ে বিদেশ চলে যান। পরে প্রবাসে বসেই গতবুধবার প্রকাশ হওয়া ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ শিরোনামে আত্মজীবনীমূলক বইয়ে সিনহা বর্ণনা করেছেন কোন পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়েছি এবং তারপর কেন তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তিনি (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) সাবেক হয়ে গেছেন। সাবেক হওয়ার অন্তর্জ্বালা আছে। কী পরিস্থিতিতে সাবেক হয়েছেন তা সবাই জানে। বই লিখে মনগড়া কথা বলবেন বিদেশে বসে, সেটা নিয়ে কথা বলার কোনও প্রয়োজন আছে? ক্ষমতা যখন থাকে না তখন অনেক অন্তর্জ্বালা তৈরি হয়।
এসকে সিনহা কেন আগে এসব বলেননি এবং দেশে ফিরে তিনি কেন জনগণের মুখোমুখি হচ্ছেন না- সে প্রশ্নও তুলেছেন ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন বইতে যা লিখেছেন, তখন প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় বলার সৎ সাহস কেন ছিল না? এখন বিদায় নিয়ে কেন পুরনো কথা নতুন করে বলছেন, এখন বিদেশে বসে আপন মনে ভুতুড়ে কথা বলছেন। এটা হয়, এটা হতেই পারে। এ নিয়ে আমরা কোনও মন্তব্য করতে চাই না। এটা আমাদের ও দেশের মানুষের বিশ্বাস করতে হবে? এর যৌক্তিকতা নাই।
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে নতুন নতুন জোট গড়ে ওঠার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দলে দলে জনে জনে যে ঐক্যের কথা আসছে, এসব কি জনমনে কোনো প্রভাব ফেলবে? শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কি কমে যাবে? এদেশে এক সময় ৭৬টি পার্টির ঐক্য হয়েছিল। এটা কি জনমনে কোন প্রভাব ফেলতে পেরেছিল? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের আস্থা আছে, বাংলাদেশের জনমত শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছে। নেতায় নেতায় ঐক্য হলে জনতার মধ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না। দেশের বর্তমান চিত্র অনুযায়ী এই মুহূর্তে জনমনে এর কোনো প্রতিফলন হবে না। এটাই আমাদের অভিজ্ঞতা।
পরে পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। এসময় দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।