নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নেহাত ‘প্রস্তুতি’ ম্যাচ ছাড়া কি বলবেন এটাকে। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে আগেই ‘সুপার ফোর’ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। গতকাল আবু ধাবিতে অনুষ্ঠেয় দু’দলের মধ্যকার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটি তাই ছিল ‘প্রস্তুতিমূলক’ই। অবশ্য আজই ‘সুপার ফোর’ পর্বে আবার মাঠে নামতে হচ্ছে দুই দলকে। যেখানে আফগানস্তানের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান আর বাংলাদেশের সামনে ভারত চ্যালেঞ্জ। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে জয় দিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নিতে কে না চায়।
সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ২৫৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আফগানরা। রশিদ-নবি-মুজিবদের মত বিশ্বসেরা স্পিন বোলিংয়ের সামনে তামিম-মুশফিক বিহীন বাংলাদেশ কেমন ব্যাটিং করে সেটাই ছিল দেখার।
বাংলাদেশ গতকাল তিনটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে। মুস্তাফিজুর রহমানকে বিশ্রাম দিয়ে ওয়ানডে অভিষেক ঘটানো হয়েছে পেসার আবু হায়দার রনিকে। কব্জির চোঁটে টুর্নামেন্ট শেষ হওয়া তামিম ইকবালের জায়গায় প্রথমবারের মত ওয়ানডে দলে খেললেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর রঙিন পোষাকে ফিরেছেন মুমিনুল হক। পাজরের ইনজুরিতে ভোগা মুশফিকুর রহিমকে বিশ্রাম দিয়ে খেলানো হয় মুমিনুলকে। তবে আজ ভারতের বিপক্ষে ফিরতে পারেন মুশফিক।
অষ্টম উইকেটে গুলবাদিন নবি ও রশিদ খানের অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটিই বড় সংগ্রহ এনে দেয় আফগানদের। অষ্টম উইকেটে যা তাদের সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড। অথচ দ্রুত দুই উইকেট তুলে নিয়ে শুরুর দিকে রাশ টেনে ধরেন অভিষিক্ত আবু হায়দার। টপ মিডিল অর্ডার দাঁড়াতে পারেনি সাকিব আল হাসানের ঘূর্নীর সামনে। কিন্তু অষ্টম উইকেটের জুটিটা শত চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন করতে পারেনি টাইগার বোলাররা। চেষ্টার কমতি করেননি দলপতি মাশরাফি। এজন্য তাকে গুনতে হয়েছে ৮ ওভারে ৬৭ রান। অভিষেক ম্যাচে আবু হায়দারের বোলিং ফিগার ৯-১-৫০-২। আট বোলারের মধ্যে একমাত্র ১০ ওভারের কোটা পূরণ করা সাকিবের বোলিং ফিগার ১০-১-৪২-৪।
দ্বিতীয় ওভারেই আবু হায়দারের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে টানা বাউন্ডারি খেয়ে ভড়কে গিয়েছিলেন কিনা কে জানে হায়দার। কিন্তু পরের বলেই ইহসানুল্লাককে ফিরিয়ে ঘুরে দাঁড়ান বাঁ-হাতি পেসার। দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারানো আফগানিস্তান দ্বিতীয় উইকেট হারায় ২৮ রানে। সেটাও হায়দারের শিকার। এরপর ৫১ রানের ধীর জুটিতে ইনিংসটা মেরামত করে নেন মোহাম্মদ শেহজাদ ও হাশমতুল্লাহ শহিদি। তাদের পর যারা ব্যাটে নেমেছেন প্রত্যেকেই কোন না কোন অবদান রেখেছেন। তবে সাকিব ৪ উইকেটে ১৩৯ থেকে ৭ উইকেটে ১৬০ স্কোরবোর্ড করে দেয়ার পর মনে হচ্ছিল সংগ্রহটা বেশি বড় হচ্ছে না আফগানদের। কিন্তু গুলবাদিনের ৩৮ বলে ৪২ ও রশিদের ৩২ বলে ৫৭ রানের ক্ষ্যাপা ব্যাটিং শেষ পর্যন্ত তাদের বড় সংগ্রহ এনে দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।