Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বে প্রতি ৫ সেকেন্ডে প্রাণ হারাচ্ছে একটি শিশু

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৪:০৯ পিএম

২০১৭ সালে বিশ্বে ১৫ বছরের কম বয়সী ৬৩ লাখ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গড়ে প্রতি ৫ সেকেন্ডে মৃত্যু হয়েছে একটি করে শিশুর। মঙ্গলবার ইউনিসেফ, বিশ্বব্যাংক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক যৌথ প্রতিবেদনে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশুদ্ধ পানির অভাব, পুষ্টিহীনতা, প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসুরক্ষার অভাব ও স্বাস্থ্যসম্মত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকাই এসব শিশুর অধিকাংশের মৃত্যুর কারণ । খবর সিবিসি নিউজ।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাণ হারানো শিশুদের একটা বড় অংশের বয়স ৫ বছরের কম, সংখ্যার হিসেবে যা ৫৪ লাখ। এদের অর্ধেকই সদ্যোজাত শিশু। জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের বিশেষজ্ঞ লরেন্স ক্যান্ডি সতর্ক করেছেন, দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ কোটি ৬০ লাখ শিশু প্রাণ হারাতে পারে, যার অর্ধেকই হতে পারে সদ্যোজাত শিশু।
ওই যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে প্রাণ হারানো ৬৩ লাখ শিশুর অর্ধেকই আফ্রিকার সাব সাহারা অঞ্চলের। সেখানে প্রতি ১৩ শিশুর মধ্যে একজন ৫ বছর বয়স হওয়ার আগেই মারা যায়। উন্নত দেশগুলোতে এই মৃত্যুর হার ১৮৫ জনে একজন। প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঁচ বছরের কম বয়সী অধিকাংশ শিশুর মৃত্যু হয় নিরাময়যোগ্য রোগে। জন্মকালীন জটিলতা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া নিওনাটাল সেপসিস এর কারণে তাদের বেশিরভাগের মৃত্যু হয়।
সারাবিশ্বেই শিশুদের জন্য প্রথম মাসই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। ২৫ লাখ সদ্যোজাত তাদের প্রথম মাসেই মৃত্যুবরণ করে। আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম মাসের মৃত্যুর সংখ্যা ধনী দেশগুলোর তুলনায় ৯ গুণ বেশি। তবে বিপুল সংখ্যক শিশু মৃত্যুর পরও ওই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিশু মৃত্যুহার পূর্বের চেয়ে কমে গেছে। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ লাখে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শিশুর মৃত্যু

১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ