Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাজিয়া শোক মিছিলকে ঘিরে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে –ডিএমপি কমিশনার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:৫৮ পিএম

শিয়া সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র আশুরা উপলক্ষে অনুষ্ঠিত তাজিয়া শোক মিছিলে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হোসাইনী দালান ইমামবাড়া কেন্দ্রীক নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এমনটিই জানালেন ডিএমপি কমিশনার মোঃ আছাদুজ্জামান মিয়া বিপিএম (বার), পিপিএম।

মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে রাজধানীর হোসাইনী দালান ইমামবাড়ায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় ডিএমপি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

তাজিয়া শোক মিছিলের নিরাপত্তা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন- ১০ মহরমকে ঘিরে বড় তাজিয়া মিছিল হবে। প্রতিটি শোকমিছিলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হবে। সেলক্ষ্যে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি ইমামবাড়া সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে প্রত্যেক দর্শনার্থীর দেহ তল্লাশী করে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করানো হবে। ‍পুলিশ ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে অনুষ্ঠান শুরুর পূর্বে প্রতিটি অনুষ্ঠানস্থল সুইপিং করানো হবে। যেসব রুট দিয়ে শোক মিছিল যাবে সেসব ‍রুটে থাকবে আমাদের রুফটপ ডিউটি, রোড ব্যারিকেড ব্যবস্থা, গাড়ি ও ফুট পেট্রোলিং। মিছিলের আগে, মাঝে, পাশে ও পিছনে থাকবে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শোক মিছিলের নিরাপত্তায় সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

তিনি বলেন- শিয়া সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে সমন্বয় করে আমরা শোক মিছিলের রুট নির্ধারণ করেছি। নির্ধারিত রুট ও সময়সীমা মেনে এবং নির্ধারিত সময়ে তাজিয়া মিছিল শুরু ও শেষ করতে হবে। মিছিলে কোন পাইক অংশগ্রহণ করতে পারবে না। নিশান এর উচ্চতা ১২ ফুট এর বেশী হবে না। শোক মিছিল ও তাজিয়া মিছিলকে ঘিরে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্চাসেবক নিয়োগ করবেন আয়োজকরা। স্বেচ্ছাসেবকরা জ্যাকেট/ কটি পরে থাকবে এবং ছবি সম্বলিত আইডি কার্ড প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বয়ে নিরাপত্তা দেয়া হবে। শোক মিছিল উপলক্ষ্যে রাজধানীর বড় কাটারা ইমামবাড়া, খোজা শিয়া ইসনুসারী ইমামবাড়া এবং বিবিকা রওজায় নেয়া হয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

কমিশনার আরও বলেন- রাস্তার মাঝে বিভিন্ন অলি গলি থেকে তাজিয়া শোক মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না। মিছিলে অংশগ্রহণ করতে হলে ইমামবাড়ায় আসতে হবে। মিছিল শুরুর স্থানে প্রবেশের আগে সকলকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও হাত দিয়ে দেহ তল্লাশী করে শোক মিছিলে ঢুকতে দেয়া হবে। তল্লাশী ব্যতিত কোন অবস্থায় কাউকে মিছিলে ঢুকতে দেয়া হবে না। শোক মিছিলে পাঞ্জা মেলানো হয়ে থাকে। পাঞ্জা মেলানোর সময় কোন প্রকার শক্তি প্রদর্শন বা ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা যাবে না। শোক মিছিলে কোন প্রকার ধারালো অস্ত্র, ধাতব পদার্থ, দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, চায়ের ফ্লাক্স, পেসার কুকার, লাঠি, ছোঁড়া, চাকু, তরবারি/ তলোয়ার, বর্শা, ঢাক-ঢোল বাজানো, উচ্চ শব্দে পিএ সেট বাজানো, আগুন ও আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ। পোশাকে ধাতব পদার্থ, ছুরি, চাকু, ব্লেড, তলোয়ার প্রভুতি ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়াও কমিশনার বলেন, শোক মিছিলের সাথে প্রস্তুত থাকবে ফায়ার টেন্ডার, জরুরী চিকিৎসা ব্যবস্থা ও এ্যা্ম্বুলেন্স। বিশেষ প্রয়োজনে প্রস্তুত থাকবে আমাদের সোয়াট, ক্রাইম সিন ইউনিট ও বোম্ব ডিসপোসাল ইউনিট।

নগরবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে কমিশনার বলেন, আমাদের সকলের সহযোগিতা ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুশৃংখল ও নিরাপদ পরিবেশে মহরমের সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে। যথাযথ শ্রদ্ধা, সততা ও পেশাদারিত্বের সাথে যার যা দায়িত্ব তা সঠিকভাবে পালন করার জন্য আহবান জানান কমিশনার। সূত্র: ডিএমপি নিউজ



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিএমপি কমিশনার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ