পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মানুষের কল্যাণের জন্য সংবিধান কোন বাধা হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেন, সংবিধান মানুষের জন্য, সংবিধানের জন্য মানুষ না। ১৯৯১ সালে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়েছিল সেটিতো সংবিধান অনুয়ায়ি ছিল না। পরে একাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সেটাকে বৈধতা দেয়া হয়েছিলো। এখানেও তাই হবে। গতকাল (সোমবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৯১ সালের মতোই সংবিধানের বাইরে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের অধীনে একাদশ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচন আপনাদের মনে আছে। বিচারপতি সাহাবুদ্দিন সাহেব প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান হয়েছিলেন। সেটা কী সংবিধানে ছিলো ? ছিলো না। পরে সেটাকে বৈধতা দেয়া হয়েছিলো। আজ সরকার বলছে যে, নির্বাচনকালীন সরকার হবে। এ ধরনের সরকার বলতে সংবিধানে কিছুই নাই। তার মানে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তারা এ সরকার করতে চাচ্ছেন। তাহলে আমরা যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলছি সেটাও তো সংবিধানের বাইরে থেকেও করা যায়।
সরকারের উদ্দেশ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের বাইরে গিয়ে যদি আপনারা নির্বাচনকালীন সরকার করতে রাজি হন তাহলে আসুন সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের ব্যবস্থা করি। এতে দেশের মানুষ আশান্বিত হবে, দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে, একটা নির্ভেজাল গণতন্ত্র হবে। সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে এবং সত্যিকার অর্থে একটা প্রতিনিধিত্বশীল সরকার আমরা সেই নির্বাচনের মাধ্যমে পাবো। তিনি বলেন, সরকারের সাথে আমাদের তফাৎটা হলো তারা সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার করতে চায়। এ নির্বাচনকালীন সরকারে কারা থাকবেন? যিনি প্রধানমন্ত্রী আছেন তিনি থাকবেন, এখন যারা মন্ত্রী আছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মন্ত্রীই থাকবেন। তাদের অধীনেই প্রশাসন থাকবে, পুলিশ বাহিনী থাকবে, র্যাব থাকবে। নির্বাচন পরিচালনা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। আজকে যারা বলছেন যে, নির্দলীয় সরকার অসাংবিধানিক। তারা ১৯৯৫-৯৬ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে, নির্দলীয় তত্ত্ববাধায়ক সরকার ব্যবস্থা তার ধারনা, এটা তার ব্রেইন চাইল্ড। তারা ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন নির্দলীয় তত্ত্ববাধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আজকে তারাই উল্টো কথা বলছেন।
মির্জা ফখরুলের সফর সম্পর্কে মওদুদ আহমদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে বড় বড় নেতারা যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে মনে হচ্ছে তারা খুবই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন, তারা খুবই আতঙ্কিত হয়েছেন বলে মনে হয়। কী করে এটা সম্ভবপর হলো জাতিসংঘ থেকে বিএনপিকে দাওয়াত দেবে জাতিসংঘ যাওয়ার জন্য। এটা তাদের সহ্য হয় নাই। তারা অনেক বিরুপ মন্তব্য করেছেন যার সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নাই। যেমন একটা উদাহরণ দেই। আমাদের মহাসচিব কখনোই বলেন নাই যে, তিনি জাতিসংঘের মহাসচিবের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। সকলেরই জানা এটা কখনো এ পর্যায়ে হয় না। সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল ও তার টিমের সাথে আমাদের মহাসচিবের নেতৃত্বে সাক্ষাৎ করেছেন। সেখানে তারা কোনো নালিশ করতে যান নাই, সরকারের সমালোচনা করতে যান নাই। তারা গেছেন দেশের বর্তমান বাস্তব অবস্থা তুলে ধরার জন্য। এটা আমাদের মহাসচিবের দায়িত্ব ছিলো এটাকে উপস্থাপন করেছেন। দেশে সত্যিকারের অবস্থাটা কী, আইনের শাসনের কী অবস্থা, বিচার বিভাগের কী অবস্থা, মৌলিক অধিকারের কী অবস্থা, বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ড হচ্ছে, গুম হয়ে গেছে তিন শ’ নেতাকর্মী, এগুলো তিনি তুলে ধরেছেন। সরকার এতে বিচলিত হয়েছে।
সংগঠনের সভাপতি সাঈদ হাসান মিন্টুর সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।