নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আজ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পর্দা ওঠতে যাচ্ছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের ক্রিকেট আসর এশিয়া কাপ। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তার আগে দেখে নেয়া যাক ওয়ানডেতে দু’দলের কিছু পরিসখ্যান-
হেড টু হেড:
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত মোট ৪৪ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। যার মধ্যে ৩৬ ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ও ৬ ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়ছে টাইগাররা। তাছাড়া দুটি ম্যাচের নিষ্পত্তি ঘটেছে ফলাফল ছাড়াই।
এশিয়া কাপে হেড টু হেড:
প্রতিযোগিতাটিতে মোট ১২বারের দেখায় ১১বারই জিতেছে লঙ্কানরা পক্ষান্তরে ২০১২ সালে লঙ্কানদের হারানোর স্মৃতি একমাত্র পুঁজি টাইগারদের সাফল্যের খাতায়।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন স্কোর:
দু’দলের মধ্যকার মুখোমুখি লড়াইয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৩২৪ রান হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি রানের ইনিংস। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে এক ইনিংসে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩৫৭ রান হচ্ছে লঙ্কানদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। পক্ষান্তরে শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোর ১৪৭ রান যেখানে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ইনিংস হচ্ছে ৭৬ রানের।
শীর্ষ ৫ রান সংগ্রাহক:
দু’দলের মধ্যকার ওয়ানডে লড়াইয়ের শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকের মধ্যে চারজনই হচ্ছেন শ্রীলঙ্কার। কুমার সাঙ্গাকারা ১২০৬, সনাৎ জয়াসুরিয়া ১০৩০, উপুল থারাঙ্গা ৮৭৯, তিলকারতেœ দিলশান ৮৫৯, রান নিয়ে রয়েছেন শীর্ষ চারে। এরপরে অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম ভরসার প্রতীক তামিম ইকবাল। তার সংগ্রহ ৬৪৩ রান।
সবচেয়ে বেশি অর্ধশতক:
সবচেয়ে বেশি শতক হাঁকানোর মতো দু’দলের ওয়ানডে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি অর্ধশতকেরও মালিক কুমার সাঙ্গাকারা। কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যানের নামের পাশে বাংলাদেশের বিপক্ষে রয়েছে ১১টি অর্ধশতকের অর্জন।
শীর্ষ ৫ উইকেট শিকারি:
এ তালিকায়ও রাজত্ব লঙ্কানদের। ৫ জনের মধ্যে যথারীতি তিনজনই লঙ্কান। ৩১ উইকেট নিয়ে শীর্ষে মুত্তিয়া মুরালিধরন, ২৪ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। এরপরের দুই অবস্থানে আবারও জায়গা করে নিয়েছেন লঙ্কান দুই বোলার। ২২উইকেট নিয়ে ফার্নান্ডো তালিকার তিনে ও সমান ২০ উইকেট নিয়ে এর পরবর্তী দুই অবস্থানে রয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা ও বাংলাদেশের রুবেল হোসেন।
ইনিংসে ৫ উইকেট:
দু’দলের মধ্যকার ওয়ানডে লড়াইয়ে এখনো পর্যন্ত মোট তিনজন বোলার ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকার করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। যার মধ্যে দুই লঙ্কান বোলার চামিন্দা ভাস ও মুত্তিয়া মুরালিধরনের সাথে একমাত্র বাংলাদেশি বোলার হিসেবে রয়েছেন দীর্ঘদিন যাবত জাতীয় দলের বাইরে থাকা স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক।
এক সিরিজে সর্বোচ্চ উইকেট:
দু’দলের মধ্যকার ওয়ানডে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের অর্জনটি জয়াসুরিয়ার। ২০০৭ সালে এক সিরিজে সর্বাধিক ৯ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব গড়েন তিনি।
সর্বাধিক ডিসমিসাল:
উইকেট রক্ষকদের এই লড়াইয়ে সবাইকে ছাপিয়ে শীর্ষে অবস্থান কুমার সাঙ্গাকারার। ৩১ ম্যাচ থেকে ৪৩ ক্যাচ ও ৬ স্টাম্পিংয়ে মোট ৪৯ ডিসমিসালার তার দখলে। এরপর পরবর্তী অবস্থানে রয়েছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। তার ঝুলিতে রয়েছে ১৯টি ক্যাচ ও ২টি স্টাম্পিংসহ মোট ২১টি ডিসমিসাল।
সবচেয়ে বেশি ক্যাচ:
ফিল্ডারদের মধ্যে দু’দলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ তালুবন্দী করার নজির স্থাপন করেছেন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। অবসর নেওয়ার আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৬ ম্যাচ খেলে মোট ১৮টি ক্যাচ নেন তিনি।
সবচেয়ে বেশি ম্যাচ:
ওয়ানডে ফরম্যাটে এই দুই দলের লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ম্যাচে মাঠে দেখা গেছে কুমার সাঙ্গাকারাকে। মোট ৩১টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি বাংলাদেশের বিপক্ষে। তাছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে লঙ্কানদের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৬টি করে ম্যাচ খেলেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও মুশফিকুর রহিম।
এশিয়া কাপ সমাচার
রোল অব অনার
আসর স্বাগতিক চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ
১৯৮৪ ইউএই ভারত শ্রীলঙ্কা
১৯৮৬ শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান
১৯৮৮ বাংলাদেশ ভারত শ্রীলঙ্কা
১৯৯০/৯১ ভারত ভারত শ্রীলঙ্কা
১৯৯৫ ইউএই ভারত শ্রীলঙ্কা
১৯৯৭ শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা ভারত
২০০০ বাংলাদেশ পাকিস্তান পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা
২০০৪ শ্রীলঙ্কা শ্রীলঙ্কা ভারত
২০০৮ পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা ভারত
২০১০ শ্রীলঙ্কা ভারত শ্রীলঙ্কা
২০১২ বাংলাদেশ পাকিস্তান বাংলাদেশ
২০১৪ বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা পাকিস্তান
২০১৬* বাংলাদেশ ভারত বাংলাদেশ
*আসরটি ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে
সর্বোচ্চ দলীয়
পাকিস্তান : ৩৮৫/৭, প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, ডাম্বুালা ২০১০
দলীয় সর্বনি¤œ
বাংলাদেশ : ৮৭, প্রতিপক্ষ পাকিস্তান, ঢাকা ২০০০
সবচেয়ে বড় জয়
ভারত : ২৫৬ (লক্ষ্য ৩৭৫), প্রতিপক্ষ হংকং, করাচি ২০০৮
সবচেয়ে বড় জুটি
উইকেট রান জুটি দল প্রতিপক্ষ ভেন্যু
১ম ২২৪ হাফিজ-জামশেদ পাকিস্তান ভারত ঢাকা, ২০১২
২য় ২০৫ গাম্ভির-কোহলি ভারত শ্রীলঙ্কা ঢাকা, ২০১২
৩য় ২২৩ শোয়েব-ইউনিস পাকিস্তান হংকং কলম্বো, ২০০৪
৪র্থ ১৬৬ ধোনি-রায়না ভারত হংকং করাচি, ২০০৮
৫ম ১৩৭ উ.আকমল-আফ্রিদি পাকিস্তান বাংলাদেশ ডাম্বুলা, ২০১০
৬ষ্ঠ ১৬৪ আসগর-সামিউল্লাহ আফগানিস্তান বাংলাদেশ ফতুল্লা, ২০১৪
৭ম ৭১ তিলকারতে-ধর্মসেনা শ্রীলঙ্কা ভারত শারজা, ১৯৯৫
৮ম ১০০ ফাওয়াদ-তানভির পাকিস্তান হংকং করাচি, ২০০৮
৯ম ৪৬ হারভাজন-জহির ভারত শ্রীলঙ্কা কলম্বো, ২০০৪
১০ম ৩০* সরফরাজ-চিমা পাকিস্তান বাংলাদেশ ঢাকা, ২০১২
সর্বোচ্চ রান
সনাৎ জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা)
ব্যাপ্তিকাল ম্যাচ ইনিংস রান সর্বোচ্চ গড় ১০০/৫০
১৯৯০-২০০৮ ২৫ ২৪ ১২২০ ১৩০ ৫৩.০৪ ৬/৩
এক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ রান ও শতক
সনাৎ জয়াসুরিয়া (শ্রীলঙ্কা, ২০০৮)
রান ম্যাচ ইনিংস গড় ১০০/৫০
৩৭৮ ৫ ৫ ৭৫.৬০ ২/১
এক ইনিংসে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ
বিরাট কোহলি (ভারত, ২০১২)
রান বল ৪ ৬
১৮৩ ১৪৮ ২২ ১
সর্বোচ্চ উইকেট
মুত্তিয়া মুরালিধরন (শ্রীলঙ্কা)
ব্যাপ্তিকাল ম্যাচ উইকেট সেরা গড়
১৯৯৫-২০১০ ২৪ ৩০ ৫/৩১ ২৮.৮৩
এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট ও সেরা বোলিং ফিগার
অজান্তা মেন্ডিস (শ্রীলঙ্কা, ২০০৮)
ম্যাচ ওভার রান উইকেট সেরা গড়
৫ ৪২ ১৪৫ ১৭ ৬/১৩ ৮.৫২
এশিয়া কাপে দলীয় রেকর্ড (ওয়ানডে ও টি-২০ মিলে)
দল সময়কাল ম্যাচ জয় হার টাই/পরি. জয়ের হার
বাংলাদেশ ১৯৮৬-২০১৬ ৪২ ৭ ৩৫ ০ ১৬.৬৬
আফগানিস্তান ২০১৪-২০১৬ ৭ ৩ ৪ ০ ৪২.৮৫
হংকং ২০০৪-২০১৬ ৭ ০ ৭ ০ ০.০০
ভারত ১৯৮৪-২০১৬ ৪৮ ৩১ ১৬ ১ ৬৫.৯৫
ওমান ২০১৬-২০১৬ ৩ ১ ২ ০ ৩৩.৩৩
পাকিস্তান ১৯৮৪-২০১৬ ৪৪ ২৬ ১৭ ১ ৬০.৪৬
শ্রীলঙ্কা ১৯৮৪-২০১৬ ৫২ ৩৫ ১৭ ০ ৬৭.৩০
ইউএই ২০০৪-২০১৬ ১১ ৩ ৮ ০ ২৭.২৭
কে কতবার চ্যাম্পিয়ন:
৫০ ওভারের ফরম্যাট আর ২০ ওভারের ফরম্যাট মিলিয়ে এবার বসতে যাচ্ছে ১৪তম এশিয়া কাপ। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ছয়বার ভারত, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাঁচবার শ্রীলঙ্কা আর দুইবার পাকিস্তান এই শিরোপা জিতেছে। বাংলাদেশ দুইবার (২০১২ এবং ২০১৬) ফাইনালে উঠলেও শিরোপা ছোঁয়া হয়নি।
ফাইনালহীন এশিয়া কাপ:
প্রথমবার অনুষ্ঠিত শারজায় এশিয়া কাপের কোনো ফাইনাল ম্যাচ হয়নি। সেবার অংশ নিয়েছিল ভারত, পাকিস্তান আর শ্রীলঙ্কা। তিনটি ম্যাচই হয়েছিল প্রথম এশিয়া কাপে। ভারত হারিয়েছিল পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কাকে। ফলে, পয়েন্ট ব্যবধানে (২-০) এগিয়ে থেকে শিরোপা জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। আর রানারআপ হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।
‘ডাক’ নেই ভারতের:
এশিয়া কাপের ইতিহাসে ভারতের কোনো ক্রিকেটার এখনও শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেননি। তবে, সেটা ৫০ ওভারের ফরম্যাটে। টি-টোয়েন্টিতে ‘ডাক’ মেরেছেন ভারতীয়রা (আজিঙ্কা রাহানে, হারদিক পান্ডিয়া এবং রোহিত শর্মা)। ওডিআই ফরম্যাটে ‘ডাক’ এর তালিকায় শীর্ষে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ ১৭ বার লঙ্কান ক্রিকেটাররা শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরেছেন। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ১১ বার শূন্য রান করেছিলেন। আর পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা ৯ বার শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। সর্বোচ্চ তিনবার করে শূন্য রানে ফিরেছিলেন পাকিস্তানের সালমান বাট, বাংলাদেশের আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং শ্রীলঙ্কান মাহেলা জয়াবর্ধনে। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট ধরলে সেখানে সর্বোচ্চ তিনবার শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছিল মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
বোলিং স্ট্রাইকরেটে সেরা শেবাগ:
ভারতের ওপেনার বিরেন্দ্র শেবাগকে ধরা হয় বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যান। অথচ এশিয়া কাপের আসরে তার নাম বেস্ট বোলিং স্ট্রাইকরেটে শীর্ষে (সিঙ্গেল ইনিংস)। বাংলাদেশের বিপক্ষে ডাম্বুলায় ২০১০ সালের ১৬ জুন বল হাতে ম্যাজিক দেখিয়েছিলেন তিনি। শেওয়াগের ঘূর্ণিতে বাংলাদেশ গুটিয়ে গিয়েছিল মাত্র ১৬৭ রানে। ২.৫ ওভার বল করে মাত্র ৬ রান খরচ করে শেওয়াগ নিয়েছিলেন ৪ উইকেট। তাতে ৪.২ বোলিং স্ট্রাইকরেটে শীর্ষে শেওয়াগের নাম।
অলরাউন্ডার টেন্ডুলকার:
এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিন নম্বরে ভারতের ব্যাটিং কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকার। শীর্ষে শ্রীলঙ্কার মাতারা হ্যারিকেন খ্যাত সনাথ জয়সুরিয়া (১২২০ রান)। আর দুইয়ে আরেক লঙ্কান গ্রেট কুমার সাঙ্গাকারা (১০৭৫ রান)। শচীন করেছিলেন ৯৭১ রান। শুধু ব্যাট হাতেই নয়, শচীন এশিয়া কাপে জাদু দেখিয়েছিলেন বল হাতেও। ২৩ ম্যাচ খেলে নিয়েছিলেন ১৭ উইকেট। কপিল দেব (১৫ উইকেট), অনিল কুম্বলেরাও (১৪ উইকেট) উইকেট শিকারের দিক থেকে শচীনের পিছনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।