বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লাইসেন্সবিহীন না থাকা বাংলাফোনের কাছ থেকে এনটিটিএন সেবা নেয়ায় মোবাইল ফোন অপারেটর রবিকে ৫০ কোটি টাকা জরিমানা করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিটিআরসি)। আগামী ১০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দিয়ে অপারেটরটিকে চিঠি দিয়েছে কমিশন। অন্যত্থায় আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের কথাও জানিয়েছে বিটিআরসি। গত মঙ্গলবার নিয়ন্ত্রণ সংস্থার পক্ষ থেকে রবিকে দেয়া এক চিঠিতে এতথ্য জানা যায়।
এই একই বিষয়ে গত জুলাইয়ে জরিমানা করে রবিকে চিঠি দিয়েছিল বিটিআরসি। এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) লাইসেন্স না থাকা বাংলাফোনের কাছ থেকে এনটিটিএন সংযোগ ও সেবা গ্রহণ করায় সেই চিঠিতে রবির কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। বিটিআরসি’র দাবি রবি কমিশনের ওই চিঠির কোন জবাব দেয়নি এবং জরিমানার অর্থও পরিশোধ করেনি। আগের চিঠির কোনো উত্তর না দেয়ায় এই জরিমানা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (মিডিয়া, কমিউনিকেশনস অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি) ইকরাম কবীর জানান, এই ইস্যুতে তারা বিটিআরসি’র কাছে বেশ কয়েকবার জবাব দিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো বিটিআরসি প্রতিবারই জবাব পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। তিনি জানান, রবির চুক্তি বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাথে এটি না জেনেই বিটিআরসি রবির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। রবি বিটিসিএল ছাড়া অন্য কোন অপারেটরের কাছ থেকে ফাইবার সংযোগ নেয়নি। একারণে কমিশন থেকে যে জরিমানার চিঠি ইস্যু করা হয়েছে এর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। ইকরাম কবির আরও বলেন, আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে রবি বাংলাফোন নয়, বিটিসিএলের কাছ থেকে সংযোগ নেয়। একইভাবে আরও ৫০টি কোম্পানি সংযোগ নিচ্ছে কিন্তু বিটিআরসি উদ্দেশ্যমূলকভাবে রবির বিষয়টি তুলে ধরেছে।
যদিও এর আগে বিটিআরসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, যারা যাচাই-বাছাই করে দেখে অনুমোদনহীন বাংলাফোনের কাছে কোন কোন কোম্পানি সেবা নিচ্ছে। তদন্তে রবি এবং টেলিটকের নাম আসে। পরবর্তীতে টেলিটক তাদের কাছ থেকে সেবা নেয়া বন্ধ করে। কিন্তু রবি বাংলাফোনের কাছ থেকে তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি বলে বিটিআরসির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
লাইসেন্স ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে ট্রান্সমিশন সেবা প্রদান করে বাংলাফোন লিমিটেড। বার বার লাইসেন্সিং নীতিমালা ভঙ্গ এবং অবৈধ সেবা প্রদানের পর কেবল চিঠি দিয়েই সতর্ক করা হয়েছে কমিশনের পক্ষ থেকে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে অবৈধ এনটিটিএন (ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) সেবা প্রদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়। অন্যত্থায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়। একইসাথে অবৈধভাবে ট্রান্সমিশন সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। বিটিআরসির পক্ষ থেকে জানা যায়, বাংলাফোনের এনটিটিএন লাইসেন্স ইস্যু করেনি কমিশন। তবে কমিশনের কাছ থেকে একটি পারমিট নিয়ে তারা কিছুদিন এই সেবা প্রদানের অনুমতি পায়। যে পারমিট বিটিআরসি দিয়েছিল তার মেয়াদও শেষ হয়ে যায় ২০১৫ সালের ২২ এপ্রিল। পরবর্তীতে পারমিটের মেয়াদ বৃদ্ধি/নবায়ন করা হয়নি। এনটিটিএন লাইসেন্স সংশ্লিষ্ট গাইডলাইনের বিধান অনুযায়ি অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন এবং এ সংক্রান্ত সেবা শুধু কমিশন হতে এনটিটিএন লাইসেন্স প্রাপ্ত অপারেটরগণ প্রদান করতে পারে। কমিশন হতে ইতোমধ্যে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল), বাংলাদেশ রেলওয়ে, ফাইবার এট হোম এবং সামিট কমিউনিকেশন্স লিমিটেড-কে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। কিন্তুঅনেক প্রতিষ্ঠান অবৈধভাবে বাংলাফোন লিমিটেড হতে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ট্রান্সমিশন সেবা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সেবা গ্রহণ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।