Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কিন শুল্কের ভয়ে চীন থেকে কারখানা স্থানান্তরের হিড়িক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে আরোপিত শুল্ক এড়াতে ‘মেড ইন চায়না’ লেবেল ঝেড়ে ফেলতে চাইছে চীনে কার্যক্রম পরিচালনাকারী কোম্পানিগুলো। এ কারণে ভিয়েতনাম, সার্বিয়া ও মেক্সিকোর মতো দেশগুলোয় উৎপাদন কার্যক্রম স্থানান্তর করছে এসব কোম্পানি।
চলতি বছরের গ্রীষ্মে চীনের ৫ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করার পর বেইজিংও পাল্টা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর পর থেকেই বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনীতির দেশ নিজেদের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে বিপদে পড়েছে চীনের কোম্পানিগুলো। কারণ চীনে তৈরি যেকোনো ধরনের পণ্য যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে রফতানি করতে হলে তাদের বিপুল শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। শুল্ক থেকে বাচতে বাইক থেকে শুরু করে টায়ার, প্লাস্টিক ও বস্ত্র সব ধরনের পণ্যের কোম্পানিগুলো তাদের শিল্প-কারখানার কার্যক্রম এখন চীন থেকে সরিয়ে নিচ্ছে বলে সরকারি তথ্যে দেখা গেছে।
শেনজেনে নিবন্ধিত বাইকের যন্ত্রাংশ নির্মাতা কোম্পানি এইচওয়ান করপোরেশন গত মাসে বিনিয়োগকারীদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, শুল্কের কারণে উৎপাদন কার্যক্রম ভিয়েতনামে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগস্টে ই-বাইকে শুল্ক আরোপের পর বাইসাইকেল ও এর যন্ত্রাংশের ওপরও নতুন শুল্কারোপের পরিকল্পনা চলছে। এ অবস্থায় শুল্কের প্রভাব ‘হ্রাস ও কৌশলে এড়িয়ে’ যাওয়াই শ্রেয়।
গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, নতুন করে চীনের ২০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শিগগিরই শুল্ক কার্যকর হবে। বাণিজ্য বিষয়ে তথ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পানজিভার সাপ্লাই চেইন এক্সপার্ট ক্রিস্টোফার রজারস বলেন, ‘নতুন শুল্কের কারণে কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তাদের সাপ্লাই চেইনের কার্যক্রম অবশ্যই পর্যালোচনা করে দেখবে। সত্যিকার অর্থে, এসব কোম্পানি বর্তমানের তুলনায় ২৫ শতাংশ প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।’
শুধু স্থানীয় কোম্পানিগুলোই নয়, চীন থেকে কার্যক্রম সরিয়ে নিচ্ছে এমন বিদেশী কোম্পানির তালিকাও দীর্ঘ হচ্ছে। এর মধ্যে খেলনা প্রস্তুতকারী কোম্পানি অলিম্পাস, সু ব্র্যান্ড স্টিভ ম্যাডেনের নাম উল্লেখযোগ্য, যা বেইজিংকে রীতিমতো শঙ্কিত করে তুলেছে।
চীনের শিল্প-কারখানার মধ্যে ঝেজিয়াং হাইলাইড নিউ মেটারিয়াল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সুতা, টায়ার কর্ড ফ্যাব্রিক ও প্রিন্টিং সামগ্রীর সিংহভাগ তাদের ঝেজিয়াং প্রদেশের কারখানা থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশে সরিয়ে নিয়েছে।##



 

Show all comments
  • Ashraf Hossain ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৩২ এএম says : 0
    বাংলাদেশের সরকারের উচিত হবে , এই বিষয় টিতে মাথা ঘামানো। বাংলাদেশে যদি বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান আনতে পারে , দেশের অনেক মানুষের বেকারত্ব কমবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ