বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিদ্যুৎবিভ্রাটের কারণে তড়িঘড়ি করে সংসদ অধিবেশন মুলতবি করা হয়েছে। সংসদ অধিবেশন শুরুর ১৫ মিনিট আগে বিদ্যুৎ চলে যাওয়া পরও সেখানে লাইন দিতে না পারায় সংসদের বেশির ভাগ রুম অন্ধকারে ডুবে যায়।
পরে জেনারেটরের মাধ্যমে সংসদের বৈঠক সোয়া এক ঘণ্টা চলার পর বিদ্যুৎ স্বাভাবিক না হওয়ায় তড়িঘড়ি করে সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে মঙ্গলবার সংসদের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগেই বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দেয়। এরপর সংসদের নিজস্ব জেনারেটরের সাহায্যে অধিবেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়। ঘণ্টাখানেক চলার পর সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সংসদে সভাপতির দায়িত্বে থাকা ডেপুটি স্পিকার অ্যাড. ফজলে রাব্বী মিয়া বৈঠক মুলতবি করেন। সংসদের বৈঠক আগামীকাল বিকাল ৫টায় আবার বসবে।
এ বিষয়ে পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, আমাদের সংসদ চলে মেঘনা ঘাটের ৪০০ মেঘাওয়াট বিদ্যুৎগ্রিডের মাধ্যমে। কিন্তু সেখানে কারিগরি সমস্যা দেখা দেয়ায় সংসদের বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। এজন্য সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়েছে।
এ সময় সংসদ সচিবালয়ের প্রধানমন্ত্রী ব্লক ও অধিবেশ কক্ষ ছাড়া কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না সংশ্লিষ্টরা জানান। সংসদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তা আসলেও সংসদের লাইন দেয়া যাচ্ছিল না। বার বার কেটে যাচ্ছিল। এজন্য এখন আর লাইন দেয়ার সাহস পাচ্ছেন না কর্মকর্তারা। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে লাইন দেয়া হবে। এ বিষয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, আমরা এখন ঘটনাস্থলে আছি। কারণ, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখার পর বোঝা যাবে কেন জাতীয় সংসদ ভবনে বিদ্যুতের এই সমস্যা হচ্ছে।
পিডিবি জানায়, মেঘনাঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ রয়েছে। রাত ১০ টা বা ১১ টা নাগাদ কেন্দ্রটি থেকে আবার বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। পিডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মেঘনাঘাট থেকে মোট সাড়ে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। এই বিদ্যুৎ ঘাটতির কারণে সংসদে বিদ্যুৎ থাকবে না, এটা হতে পারে না। কারণ, এই কেন্দ্রের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে দেওয়া হয়। ঘাটতি হলে সারা ঢাকায় হবে। শুধুমাত্র সংসদে হবে না। অন্য কোনও কারিগরী কারণে এই সমস্যা হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।