Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩০ অক্টোবরের পর তফসিল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

যতো যাই ঘটুক না কেন আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল প্রতিদ্বন্ধিতায় আসবে বলে আশা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের পূর্বমুহুর্তে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে দাবি করে নির্বাচন আয়োজনকারী এই সংস্থাটি এরইমধ্যে ভোটের ৮০ ভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে গেছে। তফসিল ঘোষণার আগে বাকী ২০ ভাগ কাজও শেষ হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। এসময় তিনি ৩০ অক্টোবরের পর যেকোনো দিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলেও জানান। হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ৩০ অক্টোবর থেকে নির্বাচনের দিন গণনা শুরু হবে। তাই এই তারিখের পর যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা হতে পারে। তিনি বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যই হচ্ছে নির্বাচনে অংশ নেয়া। ভোটের অধিকারের জন্যই দলগুলো রাজনীতি করে জানিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আরপিও সংশোধন করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হলেও সেটির কোন কোন অংশে সংশোধনী আনা হয়েছে তা প্রকাশ করেনি ইসি। এই ক্ষেত্রে এতো গোপনীয়তা কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, কোনো গোপনীয় বিষয় নয়। আরপিও সংশোধন প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং অনুমোদন হলে মন্ত্রিসভা ও সংসদে পাস হবে। তারপর সবাই জানতে পারবেন। সব কিছু আগে থেকে জানাতে হবে এমন তো কোনো বিধান নেই।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির ৮০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে ইসি সচিব বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্র্নিধারণ, ১০ কোটি ৪১ লাখ ভোটারের তালিকা সম্পন্নসহ সিডি করা হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব জেলা এবং উপজেলাতে এই সিডি আমরা পাঠিয়ে দেয়া হবে। এই সিডি থেকেই ওখানে ভোটার তালিকা মুদ্রণ করা হবে। এছাড়া গত ৫ আগস্ট খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে ভোটকেন্দ্র নীতিমালা অনুসারে সব ঠিক করে ৬ সেপ্টেম্বর মাঠ পর্যায়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়। এখন সেগুলো কমিশনে পাঠানো হচ্ছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে নির্বাচনের ২৫ দিন পূর্বে ভোটকেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ করা হবে কমিশন থেকে। গেজেট প্রকাশের পর কোনো ভোটকেন্দ্র তালিকাভুক্ত করা কিংবা ব্যবহার করা যাবে না। তবে জেলা ও উপজেলা থেকে যে কেন্দ্রগুলো ইসির কাছে পাঠানো হবে সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা হবে যে, সেগুলো নীতিমালা অনুসারে করা হয়েছে কি না।
এবার প্রায় ৭ লাখের মতো ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার প্রয়োজন হবে জানিয়ে সচিব বলেন, তফসিল ঘোষণার পর ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। কারণ নির্বাচনের আগে অনেকের বদলি হতে পারে বা অবসরে যেতে পারেন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এসব বিষয়ে আপডেট পাওয়া যাবে। তখন এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তফসিল ঘোষণার মাস দু-এক আগে নির্বাচন সংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধন আনার উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। ইতিমধ্যে সংশোধনী প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের পাঠানো হয়েছে। তাতে ব্যালটের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়ার সুযোগ রাখার প্রস্তব করা হয়েছে। কিন্তু আর কী কী সংশোধনী ইসি চেয়েছে, তা পরিষ্কার করেনি সংস্থাটি। গোপনীয়তা কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হেলালুদ্দীন বলেন, কোনো গোপনীয় বিষয় নয়। আরপিও সংশোধন প্রস্তাব ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ভেটিং অনুমোদন হলে মন্ত্রী সভায়, সংসদে পাস হবে। তারপর সবাই জানতে পারবেন। সবকিছু আগ থেকে জানাতে হবে, এমন তো কোনো প্রবিধান নাই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ