পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জটিল রাজনীতি থেকে এখন শুরু হয়েছে নির্বাচনী রাজনীতি। গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের ইচ্ছা অনিচ্ছার প্রতিফলন হয় ভোটবাক্সে। তাই নির্বাচন ভীষণভাবে মানুষকে আলোড়িত করে তোলে। চোখের সামনে ভেসে ওঠে আশা আকাঙ্খার রঙীন স্বপ্নিল ছবি। যদিও কখনো তা দৃশ্যমান হয়, আবার কখনো হয় না। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের বক্তব্য, গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতাই পারে সাধারণ মানুষের সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সচেতন প্রতিটি মানুষের ভাবনার অন্ত নেই। দক্ষিণ-পশ্চিমের বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের বক্তব্য বাহ্যিক দৃষ্টিতে নির্বাচন নিয়ে সবখানে সমানতালে আলোচনা জোরদার হলেও ভেতরে একটা গুমোটভাব বিরাজ করছে। কেন যেন এখনো নির্বাচন নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে নানা প্রশ্ন। কেন প্রশ্ন তার সঠিক উত্তর মিলছে না। তবে নানা ধারণার বিষয় অনেকক্ষেত্রে ভাবিয়ে তুলছে।
চারিদিকে প্রশ্ন রয়েছে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা কি হবে? সুষ্ঠু নিরেপেক্ষ নির্বাচন হবে কিনা? -এ প্রশ্ন যেমন আছে তেমনিই অস্ত্র ও পেশীশক্তিমুক্ত হবে কিনা, সার্বিক পরিবেশই বা কেমন থাকবে? সেনাবাহিনী নামানো হবে কিনা? -এমন অনেক প্রশ্ন জনসাধারণের মধ্যে উঁকি দিচ্ছে এটি অস্বীকার করার উপায় নেই। গভীরভাবে নির্বাচনী আলোচনা হলেই এসব প্রশ্ন উঠে আসছে।
সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ রাজনীতি নির্বাচন নিয়ে খোলামেলা আলাপ আলোচনা করছেন ঠিকই, তবে কিছু কথা ‘অতি রাজনৈতিক’ হয়ে যেতে পারে সৃষ্টি করতে পারে বিতর্ক-সেজন্য সতর্কতা অবলম্বনও করতে দেখা যাচ্ছে অনেককে। এ কথাও ঠিক যে, সবাই চায় সুষ্ঠুভাবে জাতীয় নির্বাচন হোক, সব দলের অংশগ্রহণ থাকুন, ভোটাররা যোগ্য দক্ষ ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন প্রলোভন জয় করা প্রার্থীকে বেছে নেয়ার সুযোগ যেন পায়, লোভজর্জর ব্যক্তি যেন অন্তত জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ না পায়, কোন ধরণের গ্যাঞ্জাম ফ্যাসাদ কোথাও যাতে না হয়। আমরা সাধারণ মানুষ শান্তি চাই, আমরা হিসাব নিকাশ করেই ভোট দেব, আমরা সত্যিকারের ভোটাধিকার চাই।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ভোট পন্ডিতদের বক্তব্য ওয়ান ইলেভেনের পর জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ নব রাজনীতির যুগে পা রাখে। উত্তরণ ঘটে গণতন্ত্রের। নতুন এক আশার ঝিলিক দেখা দেয় ভোট রাজনীতিতে। কিন্তু দিনে দিনে জনপ্রতিনিধিদের প্রতি তৈরী হয়েছে যথেষ্ট বীতশ্রদ্ধা। জনপ্রতিনিধিদের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি, চলছে সেভাবে একই ধারায়। আগের মতোই কেউ কেউ আচার ব্যবহারও করছেন, স্বার্থান্ধ হয়ে চলছেন, বাসা বেধেছে নীতিহীনতা। বিশেষ করে একতরফা নির্বাচনের পর থেকে ভোট রাজনীতি যথেষ্ট ‘ডিফিকাল্ট’ হয়ে গেছে। মাঠ অনুসন্ধানে স্পষ্ট হচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং সব শঙ্কা ও সংশয় কেটে গেলে এবারের একাদশ নির্বাচন হবে তুমুল প্রতিদ্বন্ধিতাপুর্ণ। তাতে অনায়াসে এমপি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। জনকল্যাণে যেসব জনপ্রতিনিধি ন্যুনতম ভূমিকা রাখেননি তারা ছিটকে পড়বেন। দলও তাদের চিহ্নিত করে মনোনয়ন থেকে বাদ রাখতে পারেন।
তাছাড়া ভোটাররা ভাবাবেগে নয়, সচেতনভাবেই দেখে শুনে বুঝে যাচাই বাছাই করেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন এমন মানসিকতার বর্হিঃপ্রকাশ ঘটছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রাজনৈতিক, সামাজিক নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক ও আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অকপটে বলেছেন, আমরা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে, সাধারণ মানুষের কল্যাণের রাজনীতি দেখতে চাই। দলীয় নীতি আদর্শতো থাকবেই। কিন্তু প্রার্থীর ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনা করেই ভোট দেয়া হবে। তবে সর্বাগ্রে নানা প্রশ্ন ও আশংকামুক্ত করতে হবে।
মাঠের নির্বাচনী রাজনীতির খোঁজ নিয়ে সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সাধারণ মানুষের ভাবনার সঙ্গে প্রধান দু’টি দলের বোদ্ধা রাজনীতিবিদরাও দ্বিমত পোষণ করছেন না। বর্তমান অবস্থায় যেটি হচ্ছে, রাজনৈতিক দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীদের কার কি অবস্থান খোঁজ নেয়া হচ্ছে। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করছে দলীয় একাধিক টিমের মাধ্যমে। প্রার্থী ছিলেন না বা হতে আগ্রহী নন অথচ ক্লিন ইমেজ আছে এমন অরাজনৈতিক, সামাজিক ব্যক্তিত্ব এবং অবসরপ্রাপ্ত আমলা ও সেনা অফিসার খুঁজে বের করা হচ্ছে।
দক্ষিণ-পশ্চিমের ১০ জেলায় (খুলনা বিভাগ) মোট ৩৬টি আসনে আসনভিত্তিক নির্বাচনী জরিপ চালিয়েছে সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা। তাদের ফিল্ড অফিসাররা ৩ স্তরে প্রার্থী তালিকা করেছে। বর্তমান এমপিদের কর্মকান্ডে কে নিন্দিত কে নন্দিত, কে মাঠে নামেন না, জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কি নেই, ক্ষমতায় থাকার সুবাদে কে কে রাতারাতি অর্থবিত্তের মালিক হয়ে নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, দলের ভাবমর্যাদা করেছেন ক্ষুন্ন, তাদের জন্য অশনিসংকেত ধ্বনিত হচ্ছে। সূত্রমতে, রাজনীতির গতিপথ কোনদিকে ধাবিত হয়-এ বিষয়টির দিকেও তীক্ষè দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।