পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে আরব বসন্তের আলামত প্রতিভাত হচ্ছে এমন অভিমত ব্যক্ত করে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবির বলেছেন, নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র এবং নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের কারণে ইরান, তুরস্ক, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যে যে আরব বসন্ত হয়েছে; এমন পরিস্থিতি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ও নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের জন্যই সে আলামত ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আই এর গতকাল ‘তৃতীয় মাত্রা’ অনুষ্ঠানে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন কেমন হবে তা নির্ভর করছে বিদেশীদের ওপর। বিদেশীরা চায় নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক ভাল নির্বাচন। কিন্তু সরকার চাচ্ছে চলমান নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্রের মতোই নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন। জিল্লূর রহমানের উপস্থাপনায় টকশোতে আরো অংশ নেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শ্রমিক নেতা বিমল বিশ্বাস।
আলমগীর কবির বলেন, এটা ঠিক অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি সুষ্ঠু করতে চায় বিদেশীরা। এর আগে বিদেশীরা তাদের পছন্দের গণতন্ত্র প্রয়োগ করেছেন। ১০ বছর আগে তারা কি করেছেন সেটা মানুষ জানে। আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুজাতা সিং কি করেছেন মানুষ দেখেছে। এখন সেই বিদেশীরা এখন সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন চাচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচনে আগের দিনের রাজনীতিবিদরা কখনোই বিদেশীদের স্বাগত জানাত না। এখন রাজনীতিকরা এতোই নির্লজ, বেহায়া, বেত্তমিজ হয়েছে, যে বিদেশীদের হস্তক্ষেপকে স্বাগত জানায়। এমন চিত্র আগের দিনের রাজনীতিতে কখনো দেখা যায়নি। রাজনীতিকদের দেখেছি মাথা উঁচু করে রাজনীতি করতে। জীবন দিয়েছেন তার পরেও মাথা নত করেননি, এমন রাজনীতিবিদদের নাম আমরাও জানি। এখন বিদেশীদের ঘরে গিয়ে ধর্ণা দেয়। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে ঢাকায় যিনি আসবেন তিনি সে দেশের কংগ্রেসে শুনানিতে বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন। তিনি বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রিত গণতন্ত্র, মানবাধিকার লংঘন, নিয়ন্ত্রিত প্রশাসন, বিচার বিভাগ সবকিছু নিয়ে কথা বলেছেন। শুধু রোহিঙ্গাদের প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। অন্য সব বিষয়ে তিনি নীতিগত ভাবে প্রশ্ন তুলেছেন। ঢাকায় কর্মরত ছিলেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতি এবং দেশের সার্বিক চিত্র একটি লেখায় তুলে ধরেছেন। তার যা বলার কথা তা না বলে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে দিয়ে বাস্তব চিত্র লিখেছেন। এতে সরকারের জন্য বার্তা রয়েছে। আগে বিদেশীরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোনো কথা বললে বা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাগ গলালে রাজনীতিকরা প্রতিবাদ করতেন, কেউ কেউ প্রতিবাদ না করলেও স্বাগত জানাতেন না। এখন বিদেশীরা আমাদের সমর্থন করছেন এটা গর্বভরে প্রচার করেন রাজনীতিকরা। এ পরিস্থিতিতে সবকিছু বিদেশীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। দেশে যে নির্বাচন হবে কি হবে না তা অনেকটাই বিদেশীদের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
আলমগীর কবির বলেন, ১৯৭০ সালে সিআইএ’র এজেন্ট হিসেবে ৬ জনের নাম পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। তখন তারা লজ্জায়-অপমানে মাথা নত করে ছিলেন। কিন্তু এখন নেতারা নিজেকে গর্ভবোধ করে বলেন, যে ঐ দেশের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক আছে। আর রাজনীতি কর্মীরাও এটাতেও আপোষ করে না।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নির্বাচন নিয়ে সংকট হয়। কিন্তু আমাদের দেশের সংকট ব্যতিক্রম। এখানে নির্বাচন, গণতন্ত্র, প্রশাসন, আইনের শাসন, বিচার বিভাগ, মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা সবকিছু সংকটের মধ্যে রয়েছে। ক্ষমতাসীনরা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কাজেই নির্বাচনের আগে এগুলোর সমাধান না হলে আরব বসন্তের মতো পরিস্থিতি ধেয়ে আসবে। দেশের রাজনীতিতে জোট গঠনের হিড়িক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনী জোট, আন্দোলনের জোট এমনকি যুদ্ধের সময়ও জোট হয়ে থাকে। প্রতিটি জোটের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য হলো সাফল্য লাভ করা। ১৯৫৪ সালেও নির্বাচনী জোট হয়েছিল। কাজেই জোট নিয়ে আমি নেতিবাচক কোনো মন্তব্য করবো না। এ নিয়ে ঠাট্টামস্করা করাও উচিত নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।