রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার শিদলাইয়ে পূর্বশত্রুতার জেরধরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে খোরশেদ আলম (৫০) এবং সানু মিয়া (৬২) নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়ছে। গতকাল শনিবার ভোর সকালে শিদলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ শিদলাই ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটে। এ ঘটনায় নারী পুরুষসহ আহত হয়েছে আটজন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিষয়টি জানিয়েছেন ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবু মো, শাহজাহান কবির।এই ব্যাপারে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা সাংবাদিকদের জানান, ঘটনার দিন গতকাল শনিবার সকালে আমেরিকা প্রবাসী শামছু গ্রুপের লোকজন তাহাদের প্রতিপক্ষ মফিজ গ্রুপের বাড়ি ঘরে হামলা চালায়। এ সময় খবর পেয়ে মফিজ গ্রুপের লোকজনও পাল্টা হামলায় লিপ্ত হয়। এতে দুই গ্রুপের নারী-পুরুষসহ ১০ জন আহত হয়েছে। পরে এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, আহতরা হলেন- দক্ষিণ শিদলাই গ্রামের ছামসু গ্রুপের মৃত আবদুল ওয়াদুধ মেম্বারের ছেলে খোরশেদ আলম (৫০), একই এলাকার মৃত ছোবানের ছেলে সানু মিয়া (৬২), শফিক মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২২), শফিক মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে ইব্রাহিম খলিল (১৫), শফিক মিয়ার স্ত্রী অরুনা বেগম (৪০)। এ ছাড়াও একই এলাকার মফিজ মিয়ার মেয়ে হোসনেহেরা (৫৫), আবু তাহেরের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৪০), শাহজাহানের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪২), মনির হোসেনের ছেলে কাউছার (১৮) এবং অহিদ মেম্বারের ছেলে জহিরুল ইসলামকে (২৫) আহত অবস্থায় এলাকাবাসী উদ্ধার করে ব্রাহ্মণপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ দের মধ্যে খোরশেদ আলমকে (৫০) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার পর কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন এবং একই এলাকার মৃত ছোবানের ছেলে সানু মিয়াকে (৬২) এলাকাবাসী ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি কর এবং সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সানু মিয়া মারা যায়। আহতদের মধ্যে কাইছার ও জহিরুল ইসলামের অবস্থার অবনতি দেখে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে নিহত খোরশেদ আলমের ভাই জামসেদ আলম জসিম জানান, আমার ভাইকে একই এলাকার আলী মিয়ার ছেলে বাবুল, হোসেন মেম্বার ওরফে জয়দল, সুন্দর আলীর ছেলে স্বপন, ছন্দু মিয়ার ছেলে উজ্জলসহ তাদের দলের লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে ওই এলাকার এয়াকুব আলীর ছেলে মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ভোররাতে একই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে অহিদ মেম্বার, মৃত অধুদ মেম্বারের ছেলে খোরশেদ আলম, আবদুর রহমানের ছেলে মফিজ, অহিদ মেম্বারের ছেলে জহিরুল, অদুধ মেম্বারের ছেলে জসিম এবং তাদের ভাড়াটিয়া লোকজনসহ প্রায় ৩০-৩৫ জন লোক অতর্কিত হামলা চালাইয়া আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর করে এবং আমাদের লোকদের আহত করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়াও থানার এসআই সাইফুজ্জামান, এসআই সুনিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে নিহত খোরশেদ আলমের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। খবর পেয়ে কুমিল্লার জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্রাট খীসা ঘটনার স্থল পরিদশন করেন। পরে ওই এলাকায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এই সংবাদ লেখা পযর্ন্ত মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।