Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যা বাড়ছে ভোটকেন্দ্রের

পঞ্চায়েত হাবিব : | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এবার ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৫৭টি এবং ভোটকক্ষ (বুথ) ২ লাখ ৯ হাজার ৪১৮টি খসড়ায় প্রকাশ করা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের এ সংখ্যার কিছুটা কমবেশি হতে পারে। এবার ২ হাজার ৯৫০টি ভোটকেন্দ্র ও ২০ হাজার ৩৪০টি ভোটকক্ষ বাড়ছে। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের স্যংখা ছিল ৩৭ হাজার ৭০৭টি ও ভোটকক্ষ ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৮টি।
গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠপর্যায়ে জেলা, উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিস থেকে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। এ বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, আগামী অক্টোবরের শেষে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য আগের ভোট কেন্দ্রের তালিকা আমাদের কাছে রয়েছে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা অন্য কোনো কারণে এই তালিকার কোনো ভোটকেন্দ্র বিলুপ্ত হয়ে গেলে বা ভোটার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে কোথাও নতুন ভোট কেন্দ্র স্থাপন করতে হলে তার ব্যবস্থা করতে।
ইসির সহকারী সচিব রৌশন আরা বেগম ইনকিলাবকে বলেন, বৃহস্পতিবার মাঠপর্যায়ে ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা সবাইকে ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, সবার কাছ থেকে তালিকা পেলে জানা যাবে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট কতগুলো ভোটকেন্দ্র ও কক্ষ থাকবে। রৌশন আরা বেগম বলেন, গত ৫ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেখানে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৫৭টি ও ভোটকক্ষ (বুথ) ২ লাখ ৯ হাজার ৪১৮টি ছিল। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর ভোটকেন্দ্র ও কক্ষের এ সংখ্যার কিছুটা কমবেশি হতে পারে। গত ১৯ জুলাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটকেন্দ্রের প্রাথমিক তালিকা তৈরি করার জন্য মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়ে সকল সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে পাঠায় ইসি।
আনুষ্ঠানিকভাবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ৫ আগস্ট সারাদেশে খসড়া ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করার জন্য মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হয়। গতকাল ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে। চূড়ান্ত ভোট কেন্দ্রের গেজেট প্রকাশ হবে ভোট গ্রহণ তারিখের ২৫দিন আগে।
গত পাঁচ বছরে প্রায় এক কোটি ২২ লাখ ভোটার বেড়ে যাওয়ার কারণে এবার ভোটকেন্দ্রও বাড়বে। একই সঙ্গে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাও বাড়ছে। গড়ে আড়াই হাজারের কাছাকাছি ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। দেশে বর্তমান ভোটার ১০ কোটি ৪১ লাখ ৪২ হাজার ৩৮১ জন। সে হিসেবে ৪০ হাজারের উপরে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এ কারণে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তার সংখ্যাও হবে গত সংসদ নির্বাচনে নির্ধারিত সংখ্যার চাইতে ৬০ হাজার বেশি। ভোটকেন্দ্রের নীতিমালায় বলা হয়েছে- গড়ে ৬০০ পুরুষ ভোটারের জন্য একটি ও ৫০০ নারী ভোটারের জন্য একটি করে ভোট কক্ষ নির্ধারণ করতে হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ