Inqilab Logo

বুধবার, ০৫ জুন ২০২৪, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

এই ইসির অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না

সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১:১৮ এএম

বর্তমান কমিশনের অধিনে আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। জাতীয় নির্বাচনও নিয়ন্ত্রিত হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছে। পাঁচ সিটি নির্বাচন তারা সুষ্ঠু করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সুজন আয়োজিত ‹রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম› শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, এখন সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ তথা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে (সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, নাগিরক সমাজের প্রতিনিধ) নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।
সুজন সম্পাদক বলেন,প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন নির্বাচনে যে অনিয়ম হবে না তা বলা যায় না। তার বক্তব্যেই বোঝা যায় অনিয়ম হবে এমন একটি স্ট্যান্ডার্ড সৃষ্টি হয়েছে। এ নীতি অব্যাহত থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচনও সরকারি দল নিয়ন্ত্রিত হবে। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন মানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতাসীনদের প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করা। ইতোমধ্যে এ প্রচেষ্টা শুরু হয়ে গেছে। আজ একটি জাতীয় দৈনিকে দেখলাম কারণ ছাড়াই বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড় শুরু করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এর মানে সরকার নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করতে চায়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কি-না এমন প্রশ্নের উত্তরে সুজন সম্পাদক বলেন, ‹বর্তমান নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন। পাঁচটি সিটি নির্বাচন তারা সুষ্ঠু করতে পারেনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন নির্বাচনে যে অনিয়ম হবে না তা বলা যায় না। উনার বক্তব্যের মাধ্যমেই বোঝা যায় অনিয়ম হবে এমন একটি স্ট্যান্ডার্ড সৃষ্টি হয়েছে। বদিউল আলম বলেন, সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সরকার সিল মারার ক্লাসিক গেম খেলেছে। এসব করেও কোথাও কোথাও তারা পরাজিত হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে তিনি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের জলজ্যান্ত উদাহরণ। হঠাৎ করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার তোড়জোড় সন্দেহজনক মনে হচ্ছে। সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আর মাত্র দেড়মাস বাকি। এখন ইভিএম কিনে ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় কোথায়?
তিনি বলেন, যে কোনো প্রযুক্তির ব্যবহার সর্ম্পকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত ও দক্ষ জনবল সৃষ্টি করতে বছরের পর বছর সময় লাগে। সেখানে নির্বাচনের মাত্র চারমাস আছে। এখন কিভাবে ইভিএম ব্যবহার করা সম্ভব হবে। নির্বাচনের আগে হঠাৎ করে চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ইভিএম কেনার উদ্যোগকে সন্দেহজনক মনে হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীদের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এতে তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশনকে একটি জাতীয় সনদ বা সমঝোতা স্মারক করা প্রয়োজন। যেখানে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনকালীন সময়ে এবং পরে কেমন পরিবেশ পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে, কার কী ভূমিকা থাকবে এবং সনদের শর্ত ভাঙলে কী হবে তা উল্লেখ থাকবে।
সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার বলেন, ইভিএম বুথে ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে একজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে সুইচ থাকবে। তিনি সুইচ টিপ দেওয়ার পর ভোট দিতে পারবেন। এসময় যদি সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারের একাধিকবার সুইচ টিপ দেন, তাহলে একজন ভোটারই একাধিক ভোট দিতে পারবেন। সুতরাং নির্বাচনকালীন সময়ে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা না থাকলে ইভিএম মেশিন দিয়েও ভোট কারচুপি করা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ