পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটের মুখোমুখি দেশ। বিশেষ করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক সংকটের উত্তাপও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী সংসদ নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে এ নিয়ে সরকার এবং বিরোধীদলগুলোর মতবিরোধ আরও তীব্র হচ্ছে। সরকার বলছে, বর্তমান সংবিধানের আলোকে আগামী নির্বাচন হবে। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি, বর্তমান সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে একটি নির্দলীয়- নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি দাবি নিয়ে বিরোধীদলগুলোর মধ্যে জাতীয় ঐক্য গঠিত হচ্ছে। এ রকম রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে দৈনিক ইনকিলাবের সাথে কথা বলেছেন স্বাধীনতা সংগ্রামের আলোচিত নেতা স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব। সাক্ষাৎকারটি সুপ্রিয় পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো-
ইনকিলাব ঃ বর্তমান রাজনীতির সংকটকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন ?
আ স ম আবদুর রব ঃ বিদ্যমান সংকটের মূলেও শাসনব্যবস্থা বা শাসন পদ্ধতি। জনগণকে উপেক্ষা করে-জনগণের মতামতকে অবজ্ঞা করে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচারসহ সবকিছুকে বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলে রাখার সরকারী কৌশলই এ সংকটের উৎস। সরকার যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়-সরকারের যেহেতু বৈধতার নৈতিক সংকট রয়েছে, সেখানে সরকার দমন-পীড়ন করে ভিন্ন মত-পথের আন্দোলনকারীদের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে চাচ্ছে আর মূল সংকটকে আড়াল করতে চাচ্ছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি সকল সময়ই দ্বিমুখী। বিরোধী দলে থাকলে যা সত্য-সরকারে থাকলে তা মিথ্যা হয়ে যায়। অর্থাৎ আওয়ামী লীগের কাছে সত্য বার বার পরিবর্তিত হয়ে যায়।
ইনকিলাব ঃ আওয়ামী লীগের দ্বিমুখীতার বিষয়ে একটু বিস্তারিত বলবেন কি?
আ স ম আবদুর রব ঃ এ বিষয়ে বিস্তারিত বললে কয়েকটি ধাপে বলতে হবে যেমন,
১) দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছে-এর ভিত্তি ছিলো বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংসদীয় ব্যবস্থা-যা ছয় দফাতেও প্রতিফলিত হয়েছে। গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধু ১৪ বছর কারাগারে ছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর ৭৫ সালে বহুদলীয় রাজনীতি ও সংসদীয় ব্যবস্থার কবর রচনা করে এক দলীয় শাসন ও রাষ্ট্রপতি শাসিত পদ্ধতি প্রবর্তন করেণ। সংসদীয় পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে সংসদীয় পদ্ধতির মৃত্যুদন্ড ঘোষণা করলো অথচ জনগণের কোন মতামতের তোয়াক্কা না করেই। ৪র্থ সংশোধনীতে বিচার বিভাগকে সরাসরি নির্বাহী বিভাগের আওতায় আনা হলো এবং ৫ বছরের জন্য নির্বাচিত হলেও সংসদের মেয়াদ বৃদ্ধি করে সংসদ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের ভারসাম্য বিনষ্ট করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সাংবিধানিক চেতনাকে নৈতিকভাবে ধ্বংস করা হয়েছে ৪র্থ সংশোধনীর মাধ্যমে ।
২) নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন যাবৎ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ব্যাপক জান-মালের ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবী বাস্তাবায়ন করে-আর সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিজেরাই বাতিল করলো-তাতে আওয়ামী লীগের কোন অনুতাপ হয় না। কত হরতাল, কত অবরোধ, কত মানুষের প্রাণহানী, কর্মীদের জেল-জুলুম অত্যাচারের পর ‘ভোটের অধিকার’ প্রতিষ্ঠার দাবী বাস্তবায়ন করার প্রশ্নে শেখ হাসিনার অবদান সবচেয়ে বেশী। আর এখন নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন প্রয়োজনীয়তাই আওয়ামী লীগ দেখে না-এ দাবী নিয়ে টু শব্দটি উচ্চারণ করতে পারে না।
আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক চাইলেন তখন সংবিধানে তা ছিলো না-তখন তারা বলতো সংবিধান হচ্ছে জনগণের জন্য। আর এখন বলেন এ পদ্ধতি সংবিধানের নেই-সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না।
৩) আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থেকে আন্দোলন-সংগ্রাম, হরতাল, অবরোধ, মিছিল, রেল লাইন তুলে নেয়া, পেট্রোল পাম্পে আগুন সবকিছুকেই আন্দোলনের বিজয় হিসেবে মূল্যায়ন করেন। আর সরকারে থাকলে বিরোধী দল বা মতের হরতাল, মিছিল প্রতিবাদ সবকিছুকেই ষড়যন্ত্র-নাশকতা হিসেবে চিহ্নিত করে। বিরোধী দলে থাকলে সরকারের দমন-পীড়নকে অন্যায় বলে অবহিত করেন আর সরকারে থাকলে বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়নকে আইন সঙ্গত মনে করে।
৪) আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে সরকারের পতন-সরকারের বিদায় দিতে রাজপথ প্রকম্পিত করে কক্তৃতা-বিবৃতি, সভা-সমাবেশ করতে পারবে এবং এটা তাদের রাজনৈতিক-সাংবিধানিক অধিকার। অথচ সরকারে থাকলে সেই আওয়ামী লীগ বিরোধী দলের সকল আন্দোলনকে রাষ্ট্রদ্রোহী-গভীর চক্রান্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী বলে আখ্যায়িত করেন।
৫) বিরোধী দলে থাকলে আওয়ামী লীগ তাদের আন্দোলনের স্বার্থে ছাত্রসমাজ বা ছাত্রলীগকে আন্দোলনে যোগদানের জন্য অনুপ্রেরণা যোগান-আর সরকারে থাকলে ন্যায় সংগত দাবী-দাওয়ার প্রশ্নে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের হাতুড়ী পেটা করান ছাত্রলীগ দ্বারা এবং ছাত্রদেরকে বিশৃংখলাকারী হিসেবে অপবাদ দিয়ে, গ্রেপ্তার-রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালায়।
৬) ১৯৯৬ ও ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ একতরফা নির্বাচন বর্জন ও অগনিত জান-মালের ক্ষয়-ক্ষতিতে নির্বাচন প্রতিহত করে। সেই আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি অগনিত ক্ষয়-ক্ষতির মধ্যদিয়ে একতরফা নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। অর্থাৎ ক্ষমতার স্বার্থে আওয়ামী লীগের কাছে সত্য, বিশ্বাস ও ঘোষণা পরিবর্তিত হয়ে যায়।
ইনকিলাব ঃ স্বাধীনতার পর থেকেই রাজনৈতিক সংকট অব্যাহত আছে-এর কারণ কী ?
আ স ম আবদুর রব ঃ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণ না করে উপনিবেশিক শাসন ভিত্তিক শাসন পদ্ধতি বহাল রেখে বাংলাদেশ নির্মাণের যে ভুল রাজনীতি আমরা শুরু করেছিলাম এখনও তা অব্যাহত আছে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে রাষ্ট্র বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই বিচ্ছিন্নতার সুযোগে ৪৮ বছর ধরে শাসকগণ রাষ্ট্রকে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে গড়ে তুলছে। মুক্তিযুদ্ধের রাষ্ট্র এখন নিপীড়ক প্রতিষ্ঠান-এটা এখন আর গণমুখী রাষ্ট্র নয়।
যতক্ষণ পর্যন্ত উপনিবেশিক পদ্ধতি-ক্ষমতা দখলের রাজনীতি, বিভক্তি-অনৈক্য অব্যাহত থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক সংকটের কোন অবসান হবে না-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে না। বিনা বিচারে হত্যা, গুম, প্রতিপক্ষের উপর নির্যাতন-গ্রেপ্তার পাকিস্তানি নির্মমতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।
এ ধরণের সংকট ক্রমাগতভাবে গভীর হলে রাষ্ট্র বড় ধরণের সংকটগ্রস্থ হয়ে পড়বে-রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তার স্বক্ষমতা হারাবে। ফলে অভ্যন্তরীণ রাজনীতি-আঞ্চলিক রাজনীতি-বৈশ্বিক রাজনীতি মোকাবেলা করতে অক্ষম হয়ে পড়বে। এ বাস্তবতা রাজনৈতিক নেতৃত্বকে গভীরভাবে অনুধাবন করে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির করণীয় নির্ধারণ করতে হবে।
ইনকিলাব ঃ সরকারতো খুব আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু ক্ষমতায় না আসলে একলক্ষ লোক খুন হবে-সরকারের এই আশংকার কারণ কী ?
আ স ম আবদুর রব ঃ সরকার আত্মবিশ্বাসী নয়, সরকার জনগণের নিকট ফরিয়াদ জানাচ্ছে-আরেকবার ক্ষমতা ভিক্ষা চাচ্ছে। সরকারের মাননীয় মন্ত্রীগণ প্রতিদিন বলে যাচ্ছে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না হলেই একলক্ষ লোক খুন হবে, একটি সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক দেশে সরকার পরিবর্তন হলেই একলক্ষ লোক খুন হবে এই বার্তা দিয়ে সরকার নিজেই প্রমাণ করছে রাষ্ট্র কত বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। উন্নয়নের জোয়ার-রোল মডেল বাংলাদেশ এখন অন্যতম উচ্চতায়, ২১০০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সবকিছুই এতো ভালো তাহলে মানুষ খুন হওয়ার আশংকা কেন?
এ বার্তা দিয়ে কাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে আর কাকে সতর্ক করা হচ্ছে-তা বোধগম্য নয়। সরকার পতন হলেই যদি একলক্ষ লোক খুন হওয়ার আশংকা থাকে তাহলে তো বিদ্যমান রাজনীতির অসারতা প্রমাণ হচ্ছে। এই ভয়াবহতা বিবেচনায় নিলে রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের প্রয়োজনে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল শক্তির-এবং সমাজ শক্তির সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা জরুরী। সরকার ভয়াবহতা দেখতে পাচ্ছে তার পরেও পরিবর্তনের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হচ্ছে না।
যে রাজনীতি জনগণের অধিকার এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না সেই রাজনীতি করা অর্থহীন। রক্তের সাগরেইতো বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আত্মপ্রকাশ। স্বাধীন দেশে রক্তপাতের রাজনীতি চিরকালের জন্য বন্ধ করতে হবে-মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ নির্মান করতে হবে।
ইনকিলাব ঃ জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রশ্নে আপনাদের রাজনৈতিক প্রস্তবনা কী ?
আ স ম আবদুর রব ঃ এ লক্ষ্যে আমাদের প্রস্তাব হলো-
১। যুক্তফ্রন্ট-গণফোরামসহ মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল ও অসম্প্রদায়িক দল-সংগঠন, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী ও ব্যক্তিত্ববর্গের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা;
২। বাক-ব্যক্তি-সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও সভা সমিতির স্বাধীনতা নিশ্চিত করা;
৩। আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এর উপর আইন বিভাগ ও শাসন বিভাগের কর্তৃত্বের অবসান করা এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা;
৪। নিরপেক্ষ ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন করার উপযোগী নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা;
৫। (ক) সরকার কর্তৃক অবাধ ক্ষমতা চর্চার মাধ্যমে দুঃশাসন কায়েম বন্ধ করার লক্ষ্যে সরকারের ক্ষমতায় নিয়ন্ত্রন ও ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করা; (খ) সংসদীয় প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয় সংস্কার ও পুনর্গঠন করা; (গ) রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি করা; (ঘ) রাষ্ট্র-প্রশাসন ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরন ও বিচার বিভাগের পুর্ন স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করা এবং সে লক্ষ্যে বর্তমান সংবিধানের যুগোপযোগী সংস্কার করা; (ঙ) সংবিধানের বিধান অনুযায়ী ন্যায়পাল নিয়োগ এর ব্যবস্থা করা;
(চ) নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার পুর্বে রাজনৈতিক দলসমূহের সাথে আলোচনার মাধ্যমে নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা ও নির্বাচনের পুর্বে সংসদ ও প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীসভা বাতিল ঘোষণা করা;
৬। এ মুহুর্ত থেকে রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ করা, গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি প্রদান নিশ্চিত করা;
৭। কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দায়েরকৃত মামলাসমূহ প্রত্যাহার করা এবং আন্দোলনকালে পুলিশ ও মাস্তানদের আঘাতে জখম হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের ক্ষতিপুরন প্রদান করা এবং হামলাকারী মাস্তানদের গ্রেফতার ও বিচারের ব্যবস্থা করা;
৮। তেল-গ্যাস-বিদ্যুৎ ও বন্দরসহ জাতীয় সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা;
৯। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনে বহুপাক্ষিক কুটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা এবং বাংলাদেশ, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, নেপাল, ভুটান, চীনের কুনমিং ও মিয়ানমারের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে উপ আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট গঠন করা।
ইনকিলাব ঃ জাতীয় ঐক্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট থাকছে কি?
আ স ম আবদুর রব ঃ যুক্তফ্রন্ট-গণফোরাম মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল ও অসম্প্রদায়িক দল-সংগঠন, সুশীল সমাজ, পেশাজীবী ও সচেতন ব্যক্তিত্ববর্গের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা হবে। সবার সাথে আমাদের আলোচনা চলছে।
ইনকিলাব ঃ ক্ষমতাসীনরা বলছেন যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরামের কোন জনভিত্তি নেই। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?
আ স ম আবদুর রব ঃ সেই জন্যইতো আমরা অবাধ-নিরপেক্ষ সুষ্ঠু নির্বাচননের দাবী তুলছি। যাদের প্রতি জনগণের সম্মতি-সমর্থন থাকবে তারাই ক্ষমতার আসীন হবে। ভোট কারচুপি-নিয়ন্ত্রণ-ছিনতাই করে যেন কেউ ক্ষমতা দখল করতে না পারে সেজন্যইতো আমাদের আন্দোলন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই রাজনীতি।
ইনকিলাব ঃ আপনাদের আন্দোলনের মুখে সরকার যদি কোন দাবি মেনে না নেয়। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যদি না বদলায় তাহলে পরিণতি কি হবে ?
আ স ম আবদুর রব ঃ জনগণের দাবী উপেক্ষিত হলে অনেক সংকট দীর্ঘতর হবে। সরকার জনগণ থেকে ক্রমাগত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। সে বাস্তবতার ভিত্তিতে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান ঘটবে।
ইনকিলাব : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আ স ম আবদুর রব : আপনাকেও ধন্যবাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।