বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বান্দরবান পার্বত্য জেলার লামা উপজেলার লামা সদর ইউনিয়নের নকশারঝিরি এলাকায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রায় ৪০জনের একটি সশস্ত্র গ্রুপ লামা সদর ইউনিয়নের ছোট বমুর আব্দুর শুক্কুর পাড়া, পোয়াং পাড়া, মেরাখোলা ও নকশারঝিরি এলাকায় স্থানীয় অধিবাসীদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাঁদাবাজি করে। সন্ত্রাসীরা ১১ জনের কাছ থেকে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে।
এ সময়ে কয়েকজন দোকানদারকে সন্ত্রাসীরা মারধর করেছে। খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে দুপুর ১২ টার দিকে নকশারঝিরি এলাকায় সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। সেখানে শতাধিক রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়েছে বলে স্থানীয় জনসাধারণ জানিয়েছেন। তবে কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
লামা সদর ইউনিয়নের আব্দু শুক্কুর পাড়ার খুইল্যা মিয়া সওদাগর জানান, সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি দল আব্দু শুক্কুর পাড়ায় এসে সেখানকার ৫টি দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চাঁদা আদায় করে। মেরাখোলার ফার্মেসী দোকানদার ডা. নেপাল সেন বলেন, সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা মেরাখোলা বাজারে এসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং দোকান ভেঙ্গে ৪ টি দোকান লুট করেছে। এসময়ে তারা ব্যবসায়ীদের দোকানের ক্যাশ ভেঙ্গে ৩ লক্ষাধিক টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। টাকা দিতে না পারায় মিলন পাল নামক এক সওদাগরকে মারধর করেছে। এ সময় সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি দেখে মেরাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
লামা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিন্টু কুমার সেন জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীরা লামা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় জনসাধারণকে চাঁদা দেওয়ার জন্য নোটিশ জারি করেছে। বাৎসরিক প্রতি দোকানদার ৩ হাজার টাকা এবং প্রতিজন অধিবাসীকে ১ হাজার টাকা করে আগামী ৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ৩টি বিকাশ নাম্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা নির্দেশ প্রদান করেছে।
লামা সদর ইউনিয়নের পোপা মৌজায় এবং গজালিয়ার লুলাইং মৌজায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সার্বক্ষনিক অবস্থান করছে বলে জানা গেছে। বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরকে নির্ধারিত হারে চাঁদা আরোপ করা হয়েছে। পাহাড় থেকে লোকজনকে নামিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের মধ্যে ত্রিপুরা, মার্মা ও চাকমা যুবক রয়েছে।
লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ-জান্নাত রুমি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবরটি সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করা হয়েছে এবং তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা জানিয়েছেন, সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পেয়ে নিরাপত্তাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।