Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঢাকা-সিলেট রুটে যাত্রী সাজিয়ে চোরাচালান

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে | প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সিলেট থেকে স্বর্ণের একটি বড় চালান নিয়ে ঢাকায় আসছিল চোরাকারবারী একটি চক্র। ঝুঁকি কমাতে তিনজন করে দুই বাসে ভাগ হয়ে ঢাকায় রওনা  দেন তারা। প্রত্যেকের প্যান্টের গোপন পকেটে রাখা হয় ২০টি করে স্বর্ণের বার। যেগুলো গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে জনপ্রতি ১৪ হাজার টাকা  পেতেন। তবে চালাকি করেও শেষ রক্ষা হয়নি চোরাই স্বর্ণ বহনকারী চক্রের এ ছয় সদস্যের। গত রোববার নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় বাস দু’টি তল্লাশি করে ছয়জনকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-৩)। পার্শ্ববর্তী একটি দেশে পাচারের জন্য এসব স্বর্ণ সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো বলেও জানানো হয়েছে। পরে তাদের কাছ থেকে ১২০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। ১৪ কেজি ওজনের এ স্বর্ণের আনুমানিক বাজার মূল্য ৬ কোটি টাকা। আটকরা হলেন- জামাল হোসেন (২২), তানভীর আহমেদ (২৫), রাজু হোসেন (২৩), আবুল হাসান (৩৫), রাজু আহমেদ (৩০) ও আলাউদ্দিন (৩২)।   
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকার কারওয়ানবাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৩ এর উপঅধিনায়ক মেজর মো. রাহাত হারুন খান।
তিনি বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনা এলাকায় একটি চেকপোস্ট স্থাপন করে বাস তল্লাশি শুরু করে র‌্যাব। বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এনা পরিবহনের একটি বাস তল্লাশি করা হয়। এ সময় বাসের যাত্রী জামাল হোসেন, তানভীর আহম্মেদ ও রাজু হোসেনের প্যান্টের বেল্টের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকানো ৬০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। প্রত্যেক যাত্রীর কোমরে বিশটি করে স্বর্ণের বার ছিল। এরপর তাদের আটক করে র‌্যাব।
তিনি আরও বলেন, এরপর বিকাল সাড়ে ৫টায় একই সড়কে গ্রীন লাইন পরিবহনের যাত্রী আবুল হাসান, রাজু আহম্মেদ ও আলাউদ্দিনকে তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকেও ৬০টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। দুই বাসের ছয় যাত্রীর কাছে মোট ১২০ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে র‌্যাব।
এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণচোরাচালানের সঙ্গে জড়িত দাবি করে তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার ব্যক্তিদের মধ্যে আলাউদ্দিন ছাড়া প্রত্যেকের ভাই মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রাষ্ট্রে আছেন। এদের মধ্যে রাজু ও জামাল শিক্ষার্থী। তবে প্রত্যেকের বাড়ি ভিন্ন ভিন্ন জেলায়। স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আবুল হাসান, রাজু আহম্মেদ ও আলউদ্দিনের পরিচয় হয়। তারা স্বর্ণপাচার করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা পায়।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর রাহাত হারুন খান বলেন, স্বর্ণগুলো ঢাকা হয়ে পার্শ্ববর্তী একটি দেশে পাচার করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।’ তবে স্বর্ণের মূল মালিকের বিষয়ে র‌্যাব কোনও তথ্য দিতে পারেনি। তদন্তের পর এই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানিয়েছেন এই র‌্যাব কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চোরাচালান

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ