মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অস্ট্রেলিয়ায় বসতবাড়ির দাম কমতে শুরু করেছে। দেশটির অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, গত ২৮ বছরে বাড়ির দাম কমার হার এটাই সর্বনিম্ন রেকর্ড। ঘরবাড়ির দাম বর্তমানে প্রায় ৪ শতাংশ কমেছে বলে জানিয়েছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। এর আগে ১৯৯০ সালে ঘর বাড়ির দাম হঠাৎই অনেক কমে যায়। দামের এ নিম্নগতি আরও বাড়বে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এর মূল কারণ দেশটির বাড়ির ঋণে সুদের হার বেড়ে যাওয়া। দেশটির শীর্ষ ছয়টি বাড়ির ঋণসেবা প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইতিমধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান তাদের বাড়ির ঋণের ওপর সুদের হার বাড়িয়েছে। আর বাড়তি সুদের অর্থ সামাল দিতে একাধিক বাড়ির মালিকের অনেকেই বাড়ি কম দামে বিক্রি করতে শুরু করছেন।
২০০৬ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ঘরবাড়ির দাম হু-হু করে বাড়তে শুরু করে। এরপর ২০১০ থেকে ২০১২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ির দাম কিছুটা স্থির থাকে। এরপর দাম কিছুটা কমলেও এপ্রিল মাসে আবার বাড়তে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত দাম শুধু বেড়েছেই। ২০১৫ সালের জুন মাসে দাম সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়। প্রায় ৫ শতাংশ বেড়ে যায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে আবার কমতে শুরু করে। এ ধারা পরবর্তী বছরের জুন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এরপর হঠাৎ দাম প্রায় ৪ শতাংশ বেড়ে যায়। এ সময় সিডনি ও মেলবোর্ন বিশ্বের শীর্ষ ব্যয়বহুল বসতবাড়ির শহরের তালিকায় উঠে আসে। বর্তমানে বাড়ির দাম আবারও কমতে শুরু করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার বাড়ির ঋণসেবা প্রদানকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম ছয়টির দুটি ওয়েস্টপ্যাক ও সানকর্প তাদের সুদের হার বাড়িয়েছে। যদিও দেশটির রিজার্ভ ব্যাংক এ সুদের হার বাড়ানোর সঙ্গে সহমত পোষণ করেনি। দীর্ঘদিন ধরেই এ সুদের হার বাড়ানো নিয়ে নানা আলোচনা চলছিল আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে। এর মধ্যে হঠাৎ সুদের হার ০ দশমিক ১৪ শতাংশ বাড়িয়ে দেয় ওয়েস্টপ্যাক ব্যাংক। এর পরপরই সানকর্প সুদের হার ০ দশমিক ১৭ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। আর সুদের হার বাড়াতেই একাধিক বাড়ি মালিকেরা নড়েচড়ে ওঠেন। কেননা ঋণ নিয়ে কেনা একাধিক বাড়ি বাড়তি সুদের হার পরিশোধ করে রাখা সম্ভব হবে না অনেকের পক্ষেই। এ রকমটাই বলছেন বাজার বিশ্লেষকেরা।
অস্ট্রেলিয়ার মতো স্থিতিশীল জীবনযাপন পদ্ধতির দেশে আয় ব্যয়ের হিসাবের সামান্য তারতম্যও জনজীবনে বেশ বড় প্রভাব ফেলে। দ্রব্যমূল্যের স্বল্প রদবদলও দেশটির অর্থনীতি ও সাধারণ জীবনের অনেক কিছুই পরিবর্তন করে দেয়। তাই বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, ঋণের সুদের হার বাড়লে ঘরবাড়ির দাম পড়তে শুরু করে। -ওয়েবসাইট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।