পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ির দাম বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় ক্রেতাদের বাড়ি কিনতে প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে। প্রাপ্য সম্পত্তি সীমিত হওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে বাড়ির মূল্যে ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত ছিল। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এই মাসে ২০টি শহরে বাড়ির মূল্য সূচক ৫ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তবে তা আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কম। জানুয়ারিতে সূচক বেড়েছিল ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বিক্রি কম বেশি হলেও মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে বিক্রির জন্য বাড়ির সংখ্যা ছিল আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৫ শতাংশ কম। এর ফলে ক্রেতাদের মধ্যে তাড়াহুড়া পরিলক্ষিত হয়। ক্রেতারা বাড়ি কিনতে দ্রুত সাড়া দেয়। ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব রিয়েল এস্টেট-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।
রিয়েল এস্টেট ওয়েবসাইট ‘জিলো’র মূখ্য অর্থনীতিবিদ সেভেনজা গুডেল বলেন, সমস্যা হচ্ছে বিশেষ করে তাদের ক্ষেত্রে যারা প্রথমবারের মতো কিনতে চান এবং যারা মাঝারি স্তরের বাড়ি কিনতে চান তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা প্রকট।
খুব বেশি দামী বাড়ির প্রতিযোগিতা কম এবং ক্রেতাদের মধ্যে একটি অংশ এ ধরনের বাড়ি পছন্দও করে থাকে। বসন্তের মধ্যে বেশি দামী বাড়ির জন্য আগ্রহী ক্রেতারা কিছুটা তুলনামূলক কম দামে কিনতে পারেন। তবে প্রথমবারের মতো যারা কিনতে যাচ্ছেন এবং বাজারের মাঝারি স্তরের ক্রেতা তারা তীব্র প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে পারেন। ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি ও বিক্রির জন্য বাড়ির সংখ্যা কম হওয়ায় তাদের এই অবস্থার সম্মুুখীন হতে হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী মাসগুলোতে অনেক ক্রেতার ধৈর্যের পরীক্ষা হবে।
পোর্টল্যান্ডে বছরওয়ারি ভিত্তিতে দাম বেড়েছে সর্বোচ্চ। অরেগন, ডেনভার ও সিয়াটল এই তিনটি শহরে সফটওয়্যার ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর ব্যাপক বিকাশের কারণে দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় বাড়ির বাজারেও তার প্রতিফলন ঘটেছে।
পোর্টল্যান্ডে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এই ফেব্রুয়ারিতে বাড়ির দাম বেড়েছে ১১ দশমিক ৯ শতাংশ, সিয়াটলে ১১ শতাংশ এবং ডেনভারে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। মর্টগেজে সুদের হার কম এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও এ বছর আমেরিকানরা বাড়ি কেনার ব্যাপারে বেশ সাবধানী। মার্চে বিদ্যমান বাড়ির বিক্রি বাড়ার হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ। এই হিসাবে বার্ষিক বিক্রির সংখ্যা ৫৩ লাখ ৩০ হাজার। ফেব্রুয়ারিতে ব্যাপক হ্রাসের পর মার্চে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা যায়। তবে এক বছর আগের চেয়ে কেনাকাটা ছিল ঠিক ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি।
সরকার বলছে, মার্চে নতুন বাড়ি বিক্রি ১ দশমিক ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা বার্ষিক হারের সঙ্গে সমন্বিত করা হয়েছে। মৌসুমি এই সমন্বয়ের ফলে বছরে বাড়ি বিক্রির সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ লাখ ১১ হাজারে। দীর্ঘদিন ধরে বছরে বাড়ি বিক্রির সংখ্যা সাধারণত ৬ লাখ ৫০ হাজার। এই সংখ্যা তার চেয়ে বেশ কিছুটা কম।
বাড়ি প্রাপ্যতার ঘাটতি একটি দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। অনেক বাড়ির মালিক তাদের বাড়ি বিক্রির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে না যদি তারা দেখে যে ভূসম্পত্তি কম যা তারা কিনতে পারে। আবার অনেকের যথেষ্ট সামর্থ্য নেই যাতে বাড়ি কেনার জন্য ডাউন পেমেন্ট দেওয়ার পর কিস্তি চালিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে কষ্টকর।
নতুন বাড়ি নির্মাণ হলেও এই ঘাটতি এখনো পূরণ হয়নি। বছরে সিঙ্গেল ফ্যামিলি বাড়ি ও এপার্টমেন্টের চাহিদা প্রায় ১০ লাখ ৯ হাজার সেখানে মার্চে বাড়ি নির্মাণ ৮ দশমিক ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা ৫ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম।
মর্টগেজে সুদের হার কম হলেও ক্রমবর্ধমান মূল্যবৃদ্ধি অনেক আমেরিকানের বাড়ি কেনাকে কঠিন করে তুলতে পারে। মর্টগেজ বায়ার ফ্রেডি ম্যাকের হিসাব অনুযায়ী দেশব্যাপী ৩০ বছরের মর্টগেজের গড় হার হিসাবে গত সপ্তাহে ছিল ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
‘দ্য কেস-শিলার’ সূচকে মার্কিন য্ক্তুরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক বাড়িঘরের হিসাব পাওয়া যায়। এই সূচকে বাড়িঘরের মূল্য উঠা-নামার চিত্র মেলে। এই সূচকে দরের পরিমাপ করা হয় ২০০০ সালের জানুয়ারি মাসের মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে। এর ভিত্তিতে তিন মাসের চলমান গড়ের হিসাব তৈরি করা হয়। ফেব্রুয়ারির পরিসংখ্যান হচ্ছে সর্বশেষ প্রাপ্ত হিসাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।