বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে মাছ ও সবজির দাম চড়া। ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। বড় সাইজের রূপালি ইলিশের দাম প্রতিকেজি ২৪শ টাকা। তবে পাঁচশ টাকা কেজিতেও ছোট ইলিশ মিলছে। কোরবানির ঈদের পর বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে যায়। এখন সরবরাহ বাড়তে শুরু করলেও দাম কমেনি। স্থিতিশীল রয়েছে গোশত ও মসলার দাম। ডিমের দাম ঈদের ছুুটিতে কিছুটা কমলেও এখন ডজন ৯৫টাকা থেকে একশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার নগরীর স্টিলমিল বাজার ও রেয়াজুদ্দিন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে ইলশের সরবরাহ বাড়ছে। পদ্মার ইলিশও মিলছে। সরবরাহের তুলনায় দাম তেমন কমেনি। তবে আকারভেদে দামের ভিন্নতা রয়েছে। প্রতিটি দেড় কেজি ওজন ইলিশের কেজি ২২শ টাকায়, এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি এক হাজার টাকা এবং তার চেয়ে কিছুটা ছোট ইলিশের কেজি ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জাটকা সাইজের ইলিশ মিলছে পাঁচশ থেকে ছয়শ টাকায়।
অন্য মাছের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কাতাল মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, কার্ফ ২০০ টাকা, রুই ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, চিংড়ি আকারভেদে ৬০০-৯০০ টাকা, লইট্টা মাছ ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, ভাটা ৫০০ টাকা, শিং মাছ ৭০০ টাকা, কই ৬৫০ টাকা, শোল মাছ ৬৫০ টাকা, কোরাল ৫০০ টাকা, পাবদা ৪৫০ টাকা, রুপচাঁদা ৭০০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে ক্রেতা কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা কম ছিল। কিন্তু ক্রেতা বাড়ার সাথে সাথে দামও বেড়ে যায়। বাজার মাছের বিশেষ করে ইলিশের সরবরাহ বাড়ছে জানিয়ে তারা বলেন, মাছের দাম কয়েক দিনের মধ্যে কমে যাবে।
বাজারে সব ধরনের সবজির সরবরাহ বাড়ছে। আসছে শীতের আগাম সবজিও। তবুও দাম চড়া। প্রতি কেজি বেগুন ৫০ টাকা, ঝিঙে ও কাঁকরোল ৬০ টাকা, বরবটি ৫০, চিচিঙা ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা, তিতকরলা ৫০-৫৫ টাকা, কাঁচা কুমড়া ৫০-৬০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, সিম ১০০ টাকা, টমেটো ১০০ থেকে ৮০ টাকা, ফুলকপি ১৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১০০ থেকে ১২০ টাকা এবং পিঁয়াজ ৩৩ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পিঁয়াজের দাম ৫৫ টাকা। রসুনের দাম ৬০ টাকা আর আদা বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা। ঈদের আগে আদা এবং পিঁয়াজের দাম কমে গেলেও ঈদের পর আবার বেড়ে যায়। ১৫ টাকা নীচে মিলছে না কোন শাকের আঁটি।
গোশতের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। কোরবানি ঈদের পর থেকে গত কয়েকদিন গরুর গোশত বিক্রি বন্ধ থাকলেও গতকাল প্রায় সব বাজারে গরু গোশত বিক্রি হয়েছে। তবে দাম আগের মতোই রয়েছে। প্রতিকেজি গরুর গোশত হাড়ছাড়া ৬০০ টাকা, হাড়সহ ৫০০ টাকা, খাসি প্রতিকেজি ৭০০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, সোনালি জাতের মুরগি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। ডিমের দাম ঈদের ছুটিতে কিছুটা কমলেও এখন আবার বাড়তে শুরু করেছে। গতকাল ডিমের ডজন ৯৫টাকা থেকে একশ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে সব ধরনের চালের দাম আগের মতো রয়েছে। স্থিতিশীল রয়েছে সয়াবিন তেল, গুড়ো দুধ, চিনি ও ডালের দাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।