Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পটিয়া পৌর সড়কের করুণ হাল

পটিয়া থেকে এস কে এম নুর হোসেন | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

ঠিকাদারের অবহেলা, অপরিকল্পিত নির্মাণ কাজ, তদারকির অভাব ইত্যাদি কারণে পটিয়া পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন সংস্কারবিহীন থাকায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশার কারণে চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীরা পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে ঠিকমতো চলাফেরা করতে পারছেন না। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক শহীদ সবুর রোড, আদালত রোড, ওয়াপদা (পিডিবি) রোড, রামকৃষ্ণ আশ্রম রোড, পটিয়া আবদুর রহমান সরকারি বালিকা বিদ্যালয় রোড, তালতলা চৌকি রোড ও কামাল বাজার স্টেশন রোড, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারবিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ২০১৬-১৭ সালের অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এমজিএসপি প্রকল্পের অধীনে সরকার পটিয়া পৌরসভায় মহাসড়কের পাশে ড্রেন নির্মাণ, ফুটপাথ ও স্ট্রিট লাইট স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়।
মেসার্স এম আলী চৌধুরী (জেবি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজটি প্রাপ্ত হয়ে গত ২০১৭ সালে কাজ শুরু করেন। ১৮ মাসের মধ্যে ওই কাজ সমাপ্তির সিডিউল থাকলেও ঠিকাদারের অবহেলার কারণে ২০ মাস অতিবাহিত হলেও মাত্র ৬০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে পটিয়া থানার মোড় থেকে তালতলা চৌকি পর্যন্ত একইভাবে কাজের জন্য ২০১৮ সালে অর্থ বছরে আরো ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। আগের সিডিউলের কাজ শেষ না করে নতুন সিডিউলের কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে সড়কের খোঁড়াখুঁড়ির কারণে পৌরসভার পাঁচটি সড়কের চলাচল পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া পৌরসভা এলাকাধীন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে অপরিকল্পিতভাবে ড্রেন নির্মাণ কাজ করার দরুণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে বলে অনেকের অভিযোগ। এর মধ্যে কাজে ধীর গতি থাকার কারণে যানবাহন ও লোকজন চলাচলে চরমভাবে দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।
গত ২০ মাস যাবত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মধ্যে পটিয়া পৌরসভা এলাকায় নিত্য যানজট লেগে থাকায় যাত্রী সাধারণ চরমভাবে কষ্টের সম্মুখীন। পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে কাজের নামে খোঁড়াখুঁড়ি করে ফেলে রাখায় সাধারণ রিকশাও স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। লোকজন ও যানবাহন চলাচলে দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগের শিকার হলেও পৌর কর্তৃপক্ষের কাজের ব্যাপারে কোনো তদারকি নেই। এ ব্যাপারে পটিয়া পৌরমেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সড়কগুলো টেন্ডার হয়েছে, ড্রেনের কাজ শেষ না হওয়ায় সড়কের কাজ ধরা যাচ্ছে না। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ