পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ইনকিলাব ডেস্ক : পাকিস্তানি সাধারণ জনগণ ও উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা প্রতিনিয়তই দুবাই যান। কিন্তু গত মাসে পাকিস্তানের করাচি থেকে এমিরাতের যে ফ্লাইটটি দুবাই গিয়েছিল তা অন্যান্য সময় থেকে ছিল একটু আলাদা। কারণ ওই ফ্লাইটে পাকিস্তানের সাবেক শাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ ছিলেন। গত তিন বছর পারভেজ মোশাররফ দেশ ত্যাগ করতে পারেননি সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে। সাবেক জেনারেল স্বেচ্ছায় ৭ বছর নির্বাসনে ছিলেন। পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কাছ থেকে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা নেওয়া পারভেজ মোশাররফ নির্বাচনে নওয়াজ শরীফ বিজয়ী হওয়ার পর দেশে ফিরলে ৩ বছর দেশ ত্যাগের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়েন। এখন সেই নওয়াজ শরীফ সরকারই মোশাররফের বিদেশ যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন। পাকিস্তানের কোন সরকারই সেনাবাহিনীর প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে পারে না। ১৯৯৯ সালে সেনাবাহিনী প্রধান হয়ে মোশারফের ক্ষমতা দখল এখন পর্যন্ত পাকিস্তানি জনগণের মনে দাগ কেটে রেখেছে। কিন্তু মোশারফের পতনের পর এখন গণতান্ত্রিক সরকার আসলেও সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া তারা চলতে পারছে না। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের ডান হাত হিসেবে যিনি আছেন তিনিও সেনা প্রধানই। ২০১৩ সালে সেনা প্রধান হিসেবে জেনারেল রাহিল শরীফ ইতোমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর পরীক্ষায় পাস করেছেন। ২০১৪ সালে নওয়াজ শরীফের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদে আন্দোলন চাঙ্গা হলে রাজপথের অবস্থা সামলান রাহিল শরীফ। এছাড়া পাকিস্তানে যত বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি দল আছে তা সামলানোর জন্য সেনা ছাড়া সাধারণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথেষ্ট নয়। সম্প্রতি লাহোরের একটি পার্কে যখন বোমা হামলা হয় তখন রাহিল নওয়াজ শরীফের পাঞ্জাব রেখেছেন সমস্যামুক্ত। আর এভাবেই দুই শরীফ (নওয়াজ শরীফ ও রাহিল শরীফ) যেভাবে সব জায়গায় একসঙ্গে ঘুরছেন তাতে এখন আর কারো বুঝার বাকি নেই যে সেনাবিহীন পাকিস্তানি সরকার অচল। দ্য ইকোনোমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।