বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাংলাদেশ আগামী ২০৩০ সালের মধ্যেই যক্ষ্মামুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেক্টরের রয়েছে মজবুত অবকাঠামো। কয়েক বছর আগেও দেশে প্রতি লাখে যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ছিল ৪০০ জন। আর সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী তা নেমে এসেছে ২৬০ জনে। পোলিও, ধুনষ্টংকার মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ, খুব শিগগিরই যক্ষ্মাও মুক্ত হবে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে যক্ষ্মারোগের উপর পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় যক্ষ্মানিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম ইকবাল আর্সলান, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীর লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম সাদি, আইইডিসিআর’র সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. মাহমুদুর রহমান, হু’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. এডউইন সালভাদর, নাটাবের সভাপতি মোজাফফর হোসেন পল্টু প্রমুখ।
যক্ষ্মা নির্মূলের দৃঢ়তা প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগেযক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচীতে সফলতা পাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে জনগণের মধ্যে আরও সচেনতা বাড়াতে হবে। যক্ষ্মাআক্রান্তের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীদেরকেও সচেতন হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। যক্ষ্মা সনাক্তের জন্য সারাদেশে জিন এক্সপার্ট মেশিন সরবরাহ করার চেষ্টা করা হবে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের সরকারি হাসপাতালগুলোতে মাত্র ১০ ভাগ রোগী চিকিৎসা নেয়। প্রাইভেট সেক্টরে চিকিৎসা নেয় ৫১ ভাগ রোগী। যক্ষ্মারোগ প্রতিরোধে সচেতনতা আরও বাড়ানো উচিত।
প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী- বাংলাদেশে প্রতি ১ লাখে ৪শ যক্ষ্মায় আক্রান্ত। কিন্তু আমাদের সার্ভেতে দেখা যাচ্ছে, ৪শ থেকে ২০৬ জনে নেমে এসেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশে যক্ষ্মার প্রাদুর্ভাব কমেছে।
প্রফেসর ডা. সামিউল ইসলাম সাদি বলেন, সার্ভের তথ্য যক্ষ্মা নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কারণ এর মাধ্যমে সারাদেশের তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যাবে।
জাতীয় যক্ষ্মা বিষয়ক সার্ভে টিমের প্রধান প্রফেসর ডা. মাহমুদুর রহমান বলেন, আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে- বাংলাদেশে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের মধ্যে যক্ষ্মার প্রবণতা বেশি। আবার অল্প বয়সীদের চেয়ে বেশি বয়সীরা যক্ষ্মায় বেশি আক্রান্ত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।