Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এ কেমন মা!

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ৯:২০ পিএম

আল আমীন (২৫) নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান। সৎপথে উপার্জন করে মাকে নিয়ে সুখে থাকতে চান। কিন্তু মায়ের চিন্তা ভিন্ন। রাতারাতি বড়লোক হতে ছেলেকে জোর করে নামিয়েছেন মাদক ব্যবসায়। নিজে মাদক ব্যবসা করতে গিয়ে জেলও খেটেছেন। এ ব্যবসায় অন্যায় এটা জেনেও পুত্রকে এ পথে ঠেলে দিচ্ছে। আল আমীনের প্রশ্ন এ কেমন মা। ১৩ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর মা-খালার চাপে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ার কাহিনী এভাবেই বর্ণনা করলো আল আমীন।
কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসিন জানান, মঙ্গলবার রাতে নগরীর সিনেমা প্যালেস এলাকা থেকে আল আমীনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ১৩ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। ক্রেতার কাছে সরবরাহ দিতে ইয়াবার চালান নিয়ে সেখানে অপেক্ষা করছিল সে। পরে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আল আমীন তার ইয়াবার কারবার নিয়ে নানা তথ্য দেন। আল আমীনের মা সাজু বেগম এবং খালা রুনা বেগম ‘পুলিশের তালিকাভুক্ত’ মাদক কারবারি। ইয়াবা পাচারের এক মামলায় তাদের ১০ বছর করে সাজা দিয়েছিল নারায়ণগঞ্জের একটি আদালত। পরে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যান।
আল আমীন পুলিশকে বলেছেন, তার দাদা বাড়ি নড়াইলে, আর চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় তার নানাবাড়ি। দুই বছর আগে তার বাবা মারা যান। খালা রুনার শ্বশুড়বাড়ি টেকনাফে। তিনি অনেক আগ থেকেই ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে যান। তার ‘ভালো আয়-রোজগার’ দেখে মা সাজু বেগমও জড়িয়ে পড়েন ইয়াবার ব্যবসায়। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে আল-আমীন সবার ছোট। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে, আর বড় ভাই চায়ের দোকান চালান। আল-আমীন নিজে এক সময় পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। ভালো আয়ের আশায় বায়েজিদ বোস্তামী টেক্সটাইল এলাকায় একটি খাবার হোটেলও দিয়েছিলেন।
ওসি বলেন, হোটেল থেকে যা রোজগার হত তা পছন্দ হচ্ছিল না আল আমীনের মায়ের। বেশি লাভের আশায় মায়ের চাপাচাপিতে সে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছে। পুলিশ জানায়, আল আমীন ও তার মা আগে বায়েজিদ এলাকায় থাকলেও সেখান থেকে প্রথমে পাঁচলাইশ এলাকায় এবং পরে কোতোয়ালী থানার ফিরিঙ্গী বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। আল আমীনের মা ইয়াবা সংগ্রহ করে আনতেন আর তার খালা ক্রেতা খুঁজে বের করতেন। সেই ক্রেতাকে ইয়াবা পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল আল আমীনের। মঙ্গলবার রাতেও ইয়াবা পৌঁছে দিতে গিয়ে সে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। মাদকদ্রব্য আইনে মামলার পর আল আমীনকে আদালত থেকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।



 

Show all comments
  • Billal Hosen ৩০ আগস্ট, ২০১৮, ৯:৫৩ এএম says : 0
    মাননীয় প্রশাসন, একটা সঠিক বিচার করে উদাহরণ দেন। তাহলে জাতি আর এই কাজ করতে সাহস পাবে না। এটাইআমার অনুরুধ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ