Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাচিন ও শান রাজ্যেও ঘটেছে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে সদ্য প্রকাশিত জাতিসংঘ তদন্ত প্রতিবেদন রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক মাত্রায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণকে আরও সংহত করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এই মন্তব্য করেছেন। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, এই প্রতিবেদন রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের নৃশংসতার প্রমাণকে আরও সংহত করেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তথ্য প্রমাণাদির চুলচেরা পর্যবেক্ষণ ও সংশ্লিষ্ট আইনি ব্যাখ্যার মাধ্যমে নির্ধারণ করবে সেখানে গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাখাইন ছাড়াও মিয়ানমারের কাচিন ও শান রাজ্যেও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। রাখাইনে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মিও (আরসা) স্থানীয়দের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর আরও বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করার কথা জাতিসংঘের। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকায় মিয়ানমার সেনা কর্মকর্তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গে বেসামরিক কর্তৃপক্ষও এই নিধনযজ্ঞে ইন্ধন জুগিয়েছে। রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চিও তার সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই সহিংসতা থামাতে ব্যর্থ হয়েছেন। রাখাইনে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ নিয়ে মিয়ানমার সরকারের প্রত্যাখ্যান ও অস্বীকারের মাত্রায় তারা অবাক হয়েছেন। এখন পর্যন্ত জাতিসংঘের তরফ থেকে এটাই মিয়ানমারের সংঘটিত রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কড়া হুঁশিয়ারি ও নিন্দা। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলাকে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযানের কারণ বলা হলেও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে দিতে এবং তাদের ফেরার সব পথ বন্ধ করতে আরসার হামলার আগে থেকেই পরিকল্পিত সেনা-অভিযান শুরু হয়েছিল। চলমান জাতিগত নিধনে হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারার সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে বাঁচতে পালিয়ে এসেছে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ। এক বছরেও মিয়ানমারের এই পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন ঘটেনি। এখনও আশার আলো দেখার মতো, নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী হওয়ার মতো অবস্থায় নেই পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর লাখ লাখ মানুষ। রয়টার্স।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মানবাধিকার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ