মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের যে অংশটি মধুরছড়া এলাকায় এসে পড়েছে সেখানে দেখা হল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের সাথে।
মিয়ানমারের বুতিদং এলাকায় একসময় স্কুল শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশে চলে আসেন।
এর পর থেকেই কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরে আছেন। এখানে কোন ধরনের সহায়তা ছাড়াই রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনটি শিফটে ৯০ জন শিক্ষার্থী। নিজের খুপরি ঘরেই স্কুল। কোন সাইনবোর্ড নেই। তবুও নাম দিয়েছেন হোলি চাইল্ড আইডিয়াল প্রাইভেট সেন্টার।
সেখানে পড়তে এসেছেন আসমা আক্তার। তার ইচ্ছে একদিন ক্যাম্পে বিদেশিদের জন্য দোভাষীর কাজ করবেন।
তিনি বলছেন, "আমি ক্লাস এইট পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি। এখানে আবার পড়া শুরু করেছি। এখানে আমি ইংরেজি পড়ছি।"
কারণ হিসেবে তিনি ব্যাখ্যা করেন, "...বাইরে থেকে যখন ভিজিটর আসে, বড়লোকরা আসে, ওরা তো আমাদের রোহিঙ্গা ভাষা বুঝে না। এজন্যে আমি যদি ইংরেজি শিখি, ওদের সঙ্গে কথা-বার্তা বলতে পারবো। কারও কারও কথা অনুবাদও করতে পারবো।"
খুব লাজুক এই মেয়েটি শুরুতে কথাই বলছিল না। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কঠিন জীবন। তবুও নিজেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা তার থেমে যায়নি।
তার সহপাঠী কবির আহমেদ শিক্ষক হতে চান।
তিনি বলছেন, "আমি এখানে আসছি লেখাপড়া করবো বলে। নিজে লেখাপড়া করে আমার মতো আরেক ভাইকে লেখাপড়া শেখাবো।"
এই ছেলে মেয়ে দুজনের স্বপ্নকে আরও সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করছেন তাদের শিক্ষক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
তিনি বলছেন, "আমি যখন প্রথম আসি তখন দেখি আমার মতো এখানে অনেক পরিবার আছে। কিন্তু এখানে কোন স্কুল নেই। আমি এখানকার জন্য কি করতে পারি তা চিন্তা করছিলাম। এভাবেই আমি অগ্রসর হই।"
তিনি বলছেন, "আমার মনে হয়েছে যে যদি আমরা এই অবস্থাতেই থাকি, আমাদের ছেলে মেয়েরা দিন-দিন বড় হয়ে যাচ্ছে। ওদের কোন লেখাপড়া না থাকলে ওদের জীবন দিন-দিন ধ্বংসের পথে চলে যাবে।"
সূত্র : বিবিসি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।