পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার মধ্যেই সংকটের সমাধান রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একমত হয়েছে চীন। একই সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে এ সংকট সমাধান করতে মিয়ানমারকে বোঝানোর আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং।
আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় ভবন ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’ এ দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন চেষ্টা করবে বলে জানান।
পরে পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফিং-এ একথা জানান। এসময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি রোহিঙ্গা, অর্থনীতি ও বাণিজ্য, প্রকল্প বাস্তবায়ন, কানেক্টিভিটি ও ভিসা সংক্রান্ত পাঁচটি ইস্যু বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
শহীদুল হক বলেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে একটা সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য চীনকে ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যাতে রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা, সম্মান ও নাগরিকত্ব পেয়ে রাখাইন রাজ্যে ফিরে যেতে পারে এবং তারা নিজের ভূমি ও সম্পত্তির ওপর অধিকার ফিরে পায়।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধের জবাবে চীনা প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বুঝতে পারি এটা বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।
শহীদুল হক বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গারে আশ্রয় দেওয়ায় তারা (চীন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান এবং বলেন এটি (রোহিঙ্গা সংকট) অনেক বড় সমস্যা তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা (চীন) মনে করে, মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে মিলে এর সমাধান করতে হবে। এ ব্যাপারে চীন আগেও সহযোগিতা করেছে, কেননা ওনারা বলেছেন বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েই চীনের বন্ধু।
শহীদুল হক বলেন, দু’দেশ মিলে যাতে এ সমস্যার সমাধান করতে পারে। চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দু’বার পাঠিয়েছেন প্রয়োজন হলে আবারও পাঠাবো।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, তারা (চীন) চেষ্টা করবেন যে দু’দেশের আলোচনার মধ্যই যেন এ সমস্যার সমাধান খুঁজে পায় এবং চায়না মিয়ানমারকে এ ব্যাপারে বোঝাবে, বলছে এবং বলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।