মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দাসত্ব পুরো বিশ্বে নিষিদ্ধ হলেও এর চর্চা এখনও রয়ে গেছে। যেমন জার্মানিতে এখনও অনেককে জোর করে পতিতাবৃত্তিসহ বিভিন্ন কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। সারা পৃথিবীতে বিশ্বে চার কোটি মানুষ এখনও এক অর্থে দাসত্বেরই শিকার। ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করানো হয় তাদের দিয়ে। এমন ১৬৭,০০০ জন মানুষ রয়েছেন জার্মানিতে। স¤প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত বৈশ্বিক দাসত্ব ইনডেক্স থেকে জানা গেছে এই তথ্য। অতীতে একজন মানুষের মালিকানা আইনত যখন আরেকজন মানুষের হাতে থাকতো, তখন তাকে দাসত্ব বলা হতো। বর্তমানকালে অবশ্য দাসত্বের সংজ্ঞা কিছুটা ভিন্ন। এই বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল জাস্টিস মিশন (আইজিএম)-এর চেয়ারম্যান ডিটমার রোলার বলেন, দাসত্ব আর আইনিভাবে বৈধ নয়। তবে এটা বহুরূপী এবং গোপনে আজও টিকে আছে। তবে জার্মানিতে যৌন নির্যাতনের হার ইউরোপের অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেক বেশি। অবস্থা এমন যে, দেশটিকে ইউরোপের পতিতালয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন রোলার। আধুনিক দাসত্ব সম্পর্কে ওয়াক ফ্রি ফাউন্ডেশন লিখেছে, আধুনিক দাসত্ব বলতে এমন পরিস্থিতি বোঝানো হচ্ছে যেখানে একজন মানুষের স্বাধীনতা অন্য কেউ কেড়ে নিয়েছ। এটা একজনের নিজের শরীর নিয়ন্ত্রণের স্বাধীনতা হতে পারে, হতে পারে একজনের অপছন্দের কোনও কাজ করা থেকে বিরত থাকার অধিকার হারানোর মতো ব্যাপার। এই স্বাধীনতা হুমকি, সহিংসতা আর ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে হরণ করা হয়। জার্মানিতে আধুনিক দাসত্বের দেখা মেলে মূলত অভিবাসী শ্রমিকদের মধ্যে। দেশটির কেন্দ্রীয় ক্রিমিনাল পুলিশ (বিকেকে) জানিয়েছে, নির্মাণ খাত এবং খাদ্য পরিবেশন খাতে শ্রমিকদের জোর করে খাটানোর নমুনা পাওয়া গেছে। অবশ্য স্থানীয় শ্রমিকদের ভেতর থেকেও একইরকম অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত বছর এ সংক্রান্ত ১১টি ঘটনা অনুসন্ধান করে ১৮০ জন আধুনিক দাসত্বের শিকার শ্রমিকের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। বিকেএ’র হিসেবে জার্মানিতে ২০১৭ সালে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তিতে সম্পৃক্ত করা সংক্রান্ত ৩২৭টি মামলা হয়েছে। আর এসব মামলায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন প্রথমে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া এবং তারপর জার্মানির নারীরা। ডয়েচ ভ্যালে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।