পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর বিমানবন্দর রেল স্টেশন এলাকা থেকে অপহৃত এক শিশুকে উদ্ধার করেছে র্যাব। এ সময় অপহরণকারী মাদ্রাসা শিক্ষককেও আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে শিশুকে উদ্ধার করে আপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে বলে র্যাব-৩ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অপহরণকারী শিক্ষকের নাম মো. মইনুল ইসলাম। র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপহরণকারী মইনুল রাজধানীর হাতিরঝিলে থাকলেও তিনি নোয়াখালীতে একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন।
র্যাব-৩-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রবিউল ইসলাম জানান, যে শিশুটিকে অপহরন করা হয়েছিল তার নাম সামির। তাকে প্রাইভেট পড়াতেন মাইনুল। পরে তাদের পরিবারের সঙ্গে ভাব হয়ে যায় মাইনুলের। পড়ানোর সুবাদে শিশু সামিরও মাইনুলকে পছন্দ করত। পরে চাকরি নিয়ে নোয়াখালীতে চলে যান মাইনুল। কিন্তু ফোনে যোগাযোগ রাখতেন তিনি। সামিরের বাবা কাওসার আহমদ মাইক্রোবাসচালক।
তিনি আরো জানান, সামিরকে অপহরণের পরিকল্পনা করে ঈদের পরদিন ঢাকায় আসেন মাইনুল। ওই দিন বিকেলে সামির তাদের বাড়ি মধুবাগের মাঠে খেলছিল। বিকেলে খেলার সময় সামিরকে ফুসলিয়ে খেলা থেকে সরিয়ে আনেন মাইনুল। তারপর তাকে নিয়ে পালিয়ে যান। ঢাকার একটি বাসায় রেখে মাইনুল সামিরের বাবা কাওসারের মাইক্রোবাসে একটি চিরকুট ফেলে যান। চিরকুটে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দুটি মোবাইল ফোন নম্বর লিখে রাখেন মাইনুল। কাওসার পরে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মাইনুল ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি হলে মাইনুল বিমানবন্দর রেলস্টেশনে আসতে বলেন কাওসারকে। সেখানে মাইনুলকে গ্রেফতার করে র্যাব। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে মাইনুলকে শনাক্ত করা হয়।
র্যাব-৩-এরপক্ষ থেকে আরো জানানো হয়েছে, টাকার লোভেই শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। অভিযুক্তকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।