পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পাকিস্তানের নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি স্বীকার করেছেন যে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতির দিক বদলের প্রয়োজন রয়েছে এবং পাকিস্তানের নতুন পররাষ্ট্রনীতির শুরু এবং শেষটা পাকিস্তানেই হবে। শপথ গ্রহণের পর প্রথম বক্তৃতায় তিনি শুরু থেকেই ‘দ্বিদলীয় কৌশল’ গ্রহণের প্রতিশ্রæতি দেন। পিটিআই সরকার জনগণের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে এবং এখানে বিরোধীদেরকেও তাদের ভূমিকা রাখতে দিতে হবে, এ ব্যাপারে আমি একমত। তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সাথে সহযোগিতার নতুন যুগ শুরু করতে যাচ্ছে পাকিস্তান। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং এ খাতে কর্মরত অন্যদের সাথে আলোচনা করেই পিটিআই সরকার তাদের প্রথম পদক্ষেপ ঘোষণা করতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, “যেহেতু জাতিসংঘে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক হতে যাচ্ছে এবং সেখানে আমাকে পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে”। তাই তিনি পররাষ্ট্র সম্পর্কের বিষয়ে ব্রিফ করার জন্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রাব্বানি খার এবং খাজা আসিফকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানে প্রতিপক্ষকে অবাধে বিচরণের সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, “কিছু শক্তি ছিল যারা পাকিস্তানকে নিঃসঙ্গতা এবং একাকীত্বের দিকে ঠেলে দিয়েছিল”। তিনি প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের পাকিস্তানি মিশনগুলোতে কর্মরতদের উদ্দেশে কথা বলেন এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার বার্তা দেন। পাকিস্তানের জনগণের ইচ্ছা অনুযায়ী প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে আস্থার ঘাটতি দূর করবে পিটিআই সরকার। তিনি জনগণকে নিশ্চিত করেন যে, পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরেই পররাষ্ট্র নীতি প্রণীত হবে এবং এ ব্যাপারে পূর্ব ধ্যান ধারণাকে কোন গুরুত্ব দেয়া হবে না। কুরেশি প্রতিবেশী আফগানিস্তানকে উদ্দেশে কথা বলেন এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সূচনার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ, ভৌগলিক অবস্থান, শান্তি ও স্থিতিশীলতা পরস্পরের সাথে জড়িত। ভবিষ্যতে আফগানিস্তান সফরের ব্যাপারে আশাবাদ জানান তিনি। চলমান দ্বিপাক্ষিক চুক্তিগুলো এগিয়ে নেয়া এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতার আশাবাদের কথাও বলেন তিনি। ভারত সরকারের উদ্দেশে তিনি দুই দেশের পারমাণবিক সক্ষমতা এবং দুই দেশের অভিন্ন সম্পদের কথা উল্লেখ করেন। তিনি পরিষ্কার করে বলেন, আকস্মিক অ্যাডভেঞ্চার দিয়ে কাজ হবে না। একইসাথে (কাশ্মীরসহ) বড় বড় ইস্যুগুলো সমাধানে অব্যাহত সংলাপই এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায়, যেটা স্বীকার করে নিতে হবে। তবে, তিনি দাবি করেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন যেখানে তিনি দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরুর কথা বলেছেন। ভারতের বিশ্বাসযোগ্য সরকারি সূত্র অবশ্য এই দাবিকে অস্বীকার করেছে। ভারতীয় মিডিয়ার মতে, অভিনন্দন বার্তায় পাকিস্তানের সাথে সংলাপের ব্যাপারে কিছু বলেননি মোদি এবং তিনি শুধু এটুকু বলেছেন যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের ব্যাপারে ভারত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাকিস্তানি মিশনগুলোর উদ্দেশে দেয়া বার্তায় কুরেশি এটা স্পষ্ট করে বলেন যে, আপনাদেরকে সেবা দিতে হবে শাসন নয় এবং প্রবাসী পাকিস্তানীদের সাথে সম্মানের সাথে আচরণ করতে হবে। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।