গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে এবারের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা লাইভ মনিটরিং করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষ। জানা যায়, ঈদের আগের রাতে দক্ষিণ নগর ভবনে অবস্থিত সভা কক্ষে এ সংক্রান্ত অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়। সেখান থেকে সংস্থাটির প্রতিটি ওয়ার্ডে অবস্থিত পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকদের লাইভ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণ কাজ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এছাড়া বর্জ্য সংক্রান্ত যে কোনও অভিযোগ জানাতে একটি হেল্প লাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। এ কারণে এবার বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সফলতা এসেছে বলে দাবি করেছে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ।
ডিএসসিসির সিস্টেম অ্যানালিস্ট আবু তৈয়ব রোকন জানান, ডিএসসিরি ৫৭টি ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ে একটি হোয়াটস অ্যাপ ও ক্লোজড ফেসবুক গ্রুপ তৈরি করা হয়। তাদের কাজ নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন অংশে গিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে দেখানো যে তার এলাকা কতটা পরিছন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আগে আমরা ফোন ব্যবহার করে পরিছন্নতা কর্মীদের কাছে জানতে চাইতাম তাদের কাজ কেমন চলছে। এতে আমরা সরজমিনে দেখতে পেতাম না। তারা সঠিক তথ্যও দিত না। এখন আমরা সরেজমিন চিত্র দেখতে পাচ্ছি। ফলে কেউ কাজে ফাঁকি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই।’
ডিএসসিসির অতিরিক্ত প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিটি কর্মী রাত জেগে বর্জ্য অপসারণ করেছে। আমরা প্রায় ১৬ হাজার টন বর্জ্য মাইয়াইল ল্যান্ডফিলে অপসারণ করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত বর্জ্য থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত অপসারণ হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ আগস্ট) বেলা ২টায় কোরবানি পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন, তার এলাকায় নির্ধারিত সময়ে ৯০ ভাগ বর্জ্য অপসারণ হয়েছে। তবে পুরান ঢাকাসহ কয়েকটি এলাকায় আজও কোরবানি হওয়ায় তারা ধরে নিয়েছেন এখনও ১০ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ বাকি রয়েছে। এই বর্জ্যগুলো উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গেই অপসারণ করছে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।
এর আগে সকালে ডিএসসিসির নির্ধারিত কন্ট্রোল রুমে গিয়ে দেখা গেছে, তিনটি বড় বড় স্ক্রিন ও ৮টি ল্যাপটপের মাধ্যমে সংস্থার পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকরা বিভিন্ন এলাকর চিত্র সরেজমিন কন্ট্রোল রুমকে দেখাচ্ছেন। ভোর থেকেই কন্ট্রোল রুমে ডিএসসিসির শীর্ষক কর্মকর্তারাসহ বিশিষ্ট কলামিস্ট ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ এবং নগর পরিকল্পনাবিদ মোবাশ্বর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে লাইভের মাধ্যমে তিনি সবকিছু মনিটরিং করেছেন। এলাকা বর্জ্যমুক্ত করে প্রতিটি রাস্তা লাইভ ভিডিওর মাধ্যমে দেখাতে হয়েছে কর্মীদের। কোথাও কোনও বর্জ্য থাকতে দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিএসসিসির নির্দিষ্ট কন্ট্রোল রুমে দুই হাজার ৯৪৮টি কল এসেছে। তবে এর মধ্যে মাত্র ৩৭ জন বর্জ্য সংক্রান্ত সহযোগিতা চেয়েছে। এই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বর্জ্য অপসারণে সফলতা এসেছে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘গতকাল দুপুর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত আমি নিজেই লাইভ কনফারেন্সের মাধ্যমে সব কাজ মনিটরিং করেছি। এখনও করছি। আমাদের কাজে কোনও গাফেলতি নেই। কোথাও কোনও বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখলে আমাদের হটলাইনে ফোন করে জানান।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।