পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট সীমান্ত দিয়ে আসছে ভারতীয় গরু। কোনবানি ঈদকে টার্গেট করে সংঘবদ্ধ চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠছে। বিশেষ করে সীমান্তের বিছানকান্দি এলাকা গরু চোরাচালানের নিরাপদ জোনে পরিণত হয়েছে। সীমান্ত পার হওয়ার পর কিছুটা নৌপথ ও কিছুটা সড়কপথ হয়ে বাজারগুলোতে ঢুকছে গরুগুলো। কেবল বিছনাকান্দি দিয়েই প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ গরু আসছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের হুশিয়ারি সত্তে ও ঠেকানো যায়নি অবৈধ পশুর হাট। ঈদের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে নগরজুড়ে বসেছে অবৈধ পশুর হাট। নগরীতে অন্তত ১৫টি অবৈধ পশুর হাটের তথ্য পাওয়া গেছে। সবগুলোর পেছনেই সরকার দলীয় নেতাদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে কোরবানি বাজারে এবারকার আকর্ষণ হয়ে উঠছে অনলাইনে পশু বেচাকেনা। এদিকে, কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারেট, সিলেট কার্যালয় সূত্র জানায়, ভারত বৈধভাবে বাংলাদেশে গরু রপ্তানি করে না। তবু প্রতিবছর ঈদুল আযহার মৌসুমে সিলেটের সীমান্তগুলো দিয়ে ভারত থেকে আসে অসংখ্য গরু।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. গিয়াস উদ্দিন আহমদের দাবি, সিলেটে কোরবানির চাহিদা পূরণের মতো যথেষ্ট গবাদিপশু রয়েছে। ফলে গরু আমদানির প্রয়োজন নেই। আমদানি করলে স্থানীয় খামারিরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সিলেট বিভাগে এই ঈদে প্রায় ৫ লাখ গবাদিপশু কোরবানি দেয়া হবে বলে ধারণা তার।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ পাল বলেন, কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে গরু আসছে। এগুলো বন্ধে চেষ্টা করেছি। এব্যাপারে বিজিবি ৪৮ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মহসেনুল হক কবির জানান, সীমান্তে বিজিবির কড়া নজরদারি রয়েছে। অবৈধভাবে কোনো গরু নিয়ে আসলে বিজিবি তা আটক করে নিকটবর্তী রাজস্ব কার্যালয়ে হস্তান্তর করে।
অপরদিকে, নগরীতে বৈধ হাট রয়েছে ১২টি হল্ওে এর বাইরে নগরী ও নগরীর আশপাশে গড়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক অবৈধ পশুর হাট। নগরীর লালটিলা, কয়েদির মাঠ, আম্বরখানা (আবাসন হাউজিং), টিলাগড়, শাহী ঈদগাহ (দলদলি চা বাগান), উপশহর, চৌকিদেখি, আখালিয়া, মেন্দিবাগ (জালালাবাদ গ্যাস অফিসের পেছনে), তেররতন, দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল, কদমতলী (ফল মার্কেটের সামনে), লাক্কাতুরা, মাদিনা মার্কেট, পাঠানটুলা, হাউজিং এস্টেট (দর্শন দেউড়ি), কুমারগাঁও, শাহী ঈদগাহ, রিকাবীবাজার এলাকায় অবৈধভাবে পশুর হাট বসানো হয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় রিকাবীবাজারের অবৈধ পশুর হাটে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান বলেন, বৈধ পশুর হাট ছাড়া রাস্তায় গরুর হাট বসানো যাবে না। এমন নির্দেশ ঢাকা থেকে পাওয়ার পর বিষয়টি পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে। নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মুহম্মদ আব্দুল ওয়াহাব জানান, নগরীর কাজিরবাজারসহ ১১টি হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হয়েছ। এর বাইরে কোথাও হাট বসতে দেয়া হবে না। কাজির বাজার পশুর হাটের ম্যানেজার সাহাদাত হোসেন লুলন অভিযোগ করে বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ট্রাকে করে সিলেটে গরু নিয়ে আসেন বেপারীরা। গরুবাহী ট্রাক দিয়ে প্রবেশ করার পরপরই মোটরসাইকেল দিয়ে ট্রাককে ঘিরে ধরে অথবা বিভিন্ন ক্যাডার বাহিনী দিয়ে জোরপূর্বক হুমকি-ধামকি দিয়ে অবৈধ বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে করে বেপারীতের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।