Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘মেয়েকে মেরে ফেললাম, লাশ ড্রামে’

বাবার চিঠিতে লেখা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

‘রাসেল ও পল্লব আমাকে বাঁচতে দেবে না, আমি ওদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড তুলতে পারিনি। তাই পল্লবের কাছে অপমান হওয়ার থেকে মৃত্যু অনেক ভালো। আমার মৃত্যু হলে আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ অনেক খারাপ হবে। তাই মেয়েকে আমিই মেরে ফেললাম, পাশের ঘরের ড্রামে আমার মেয়ের লাশ আছে।’ নিজের শিশু সন্তানকে হত্যার পর টেবিলে পেপার ওয়েটে চাপা দিয়ে এমন নির্মম চিঠি লিখে টেবিলের ওপর রেখে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান বাবা অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামান। ওই চিঠির সূত্র ধরেই শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ওই চিঠির সূত্র ধরে গত শনিবার পাবনার ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনের আইএসটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি ড্রামের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতে বাবা অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামানকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি তার। নিহত শিশু কারিমার বাবা ঈশ্বরদীর বেসরকারি আইএসটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামান। তিনি ঈশ্বরদী পৌর শহরের শেরশাহ রোডে বসবাস করেন।
মর্মান্তিক এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অনেকে এ ঘটনায় কাদেরুজ্জামানের মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। নিহত শিশু কারিমার মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরদীতে ১৪ মাস বয়সী শিশুকন্যাকে পানির ড্রামে চুবিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামান। শনিবার দুপুরে অধ্যক্ষের কর্মস্থলের টেবিলে রাখা একটি চিঠির সূত্র ধরে ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের পেছনের আইএসটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের একটি ড্রামের মধ্যে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানা পুলিশের ওসি আজিমউদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে চিঠির সূত্র ধরেই ধারণা করা হচ্ছে- তার প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন ছাত্রের রেজিস্ট্রেশন-সংক্রান্ত ঝামেলায় তিনি তার শিশুকন্যাকে হত্যা করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে জ্ঞান ফেরার পর তার কাছ থেকে জানা যাবে প্রকৃত ঘটনা। তিনি আরো বলেন, শনিবার সকালে অধ্যক্ষ কাদেরুজ্জামান তার শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে প্রাতঃভ্রমণে বের হন। এ সময় তার স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে ঈশ্বরদী বাজারের পৌর সুপার মার্কেটের সামনে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে শিক্ষক কাদেরুজ্জামানকে প্রথমে ঈশ্বরদী ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ