বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিদ্যুৎ সংকটে বিপর্যস্ত সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা। গত কয়েকদিন বিদ্যুৎ না থাকায় বন্ধ রয়েছে অপারেশন থিয়েটার, এক্সরে ও সিটিস্কানসহ পরীক্ষার যন্ত্রপাতি। এর ফলে দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসা রোগীরা। কর্তৃপক্ষের দাবি, বিদ্যুৎ সংকট কাটাতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। রোগীদের অভিযোগ, অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় জরুরী অপারেশন বন্ধ। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন এসব রোগী।
এদিকে, জেলা শহরের দূর দূরান্ত থেকে অপারেশন করতে আসা অসহায় ও গরীব রোগিরা সদর হাসপাতালের দুরাবস্থা দেখে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। সিজারিয়ান মা ও নবজাতক বাচ্চারা অসহনীয় গরমে তাদের নাভিশ্বাস উঠেছে। দেখা দিচ্ছে নানাবিধ রোগ। বিদ্যুতের পাশাপাশি পানি না থাকায় হাসপাতলে পরিবেশ দুষণও দেখা দিয়েছে। নিচ থেকে পানি নিয়ে রোগিদের বাথরুম ও অন্যান্য কাজ সারতে হচ্ছে।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিসাধীন শেফালি খাতুনের স্বামী মহব্বত আলি জানান, গত তিনদিন আগে তার স্ত্রীকে সিজার করার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বিদ্যুত নেই। তোমার স্ত্রীকে যদি সিজার করতে হয় তাহলে জেনারেটরের তেল কিনে দিতে হবে। আমি তেল কিনে দিলে তারপর ডাক্তার আমার স্ত্রীকে সিজার করে।
সিদ্দিকুর রহমান নামে আর এক রোগীর স্বজন জানান, তার এক আত্মীয় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতলে গত তিন দিন আগে ভর্তি হয়েছেন। এরপর থেকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে বিদ্যুত ও পানি নেই। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফরহাদ জামিল জানান, বিদ্যুৎ বিভাগকে বারবার জানিয়েও কোন ফল হয়নি। ৫০ কেভি ক্ষমতাসম্পন্ন ট্রান্সফর্মার দিয়ে হাসপাতালের সব ইউনিট চালানো সম্ভব নয়। তাই আলাদা একটি সাবস্টেশন বসানোর দাবি এই চিকিৎসকের।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা: তওহীদুর রহমান জানান, গত এক সপ্তাহ আগে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের ট্রান্সফরমারটি নষ্ট হয়ে যায়। সাতক্ষীরা সদর হাতপাতালের প্রয়োজন ১৫০ কেভি পাওয়ার ট্রান্সফরমার। বিদ্যুত অফিসে বারবার বলা হলেও তারা ৫০ পাওয়ার কেভির বেশি ট্রান্সফরমা দিতে পারছে না। এ বিষয়ে খুলনা স্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরে ১৫০ পাওয়ার কেভি ট্রান্সফরমর চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। নতুন ট্রান্সফরমারটি পাওয়া গেলে অপারেশনসহ যাবতীয় কাজ করা যাবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, বর্তমানে সদর হাসপাতালে ২৫০/৩০০ জন রোগি ভর্তি আছে। দূও দরন্ত থেকে অপারেশন করতে আসা রোগিরা ফিরে যাচ্ছে। এ ছাড়া হাসপাতালের অপারেশন আপাতত বন্ধ আছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মো: ইফতেখার হোসেন জানান, রোগিদের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ অফিস থেকে ৫০ কেভি পাওয়ারের একটি ট্রান্সফরমা লাগানো হয়েছে। নতুন ১৫০ কেভি ট্রান্সফরমারটি দুই একদিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। নতুন ট্রান্সফরমারটি হাতে পেলে আগের মত অপারেশনসহ যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।