Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীন থেকে ফিরে রাতে স্বামীর গলা কাটলেন

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হোটেল কক্ষে তার শরীর ও মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ভোরে খুলশী থানার ফয়স লেক এলাকায় লেকসিটি আবাসিক হোটেলের দ্বিতীয় তলার ২০৩ নম্বর কক্ষ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার মাঈনুদ্দিন ওরফে শাহরিয়ার শুভ (৩০) সাবেক ছাত্রলীগ নেতা।
তিনি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ৯ নং শুভপুর ইউপির ১ নং ওয়ার্ড বালিরচর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে। শুভ ফেনীতে বালুসহ নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা করতেন। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল নগরীর ২নং গেইট এলাকার বাসা থেকে শুভর কথিত সাবেক স্ত্রী ডা. রোকসানা আকতার পপিকে (২৪) আটক করেছে পুলিশ। পপি চীনের একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস শেষ করে সেখানে ইন্টার্নি করছেন।
পুলিশ জানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে রোকসানাকে নিয়ে ওই হোটেলে উঠেন শুভ। ওই রাত সাড়ে তিনটা নাগাদ হোটেল কর্তৃপক্ষ রুম চেকিং এ গেলে শুভর গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। তখন সেখানে আর কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে খুলশী থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। আটক রোকসানা আক্তার পপির বাড়ি জেলার মীরসরাই উপজেলার বারৈয়ারহাট মেহেদী নগর গ্রামে। তার বাবার নাম আবু আহম্মদ।
নিহতের বড়ভাই মো. জাফর সাংবাদিকদের বলেন, শুভকে পরিকল্পিতভাবে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। একটি মেয়ের সাথে শুভর সম্পর্ক ছিল। মেয়েটি ১৬ আগস্ট চীন থেকে দেশে এসেছে এবং আমার ভাই তাকে ঢাকা বিমানবন্দরে রিসিভ করে তাকে নিয়ে চট্টগ্রামে আসে। আমাদের ধারণা মেয়েটি পরিকল্পিভাবে তার সহযোগীদের নিয়ে আমার ভাইকে খুন করেছে।
নিহতের ঘনিষ্ঠজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শুভ ও পপির মধ্যে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কের পর কয়েক বছর আগে তারা গোপনে বিয়ে করেন। পরে পপি চীন চলে যান। সেখানে মীরসরাই এলাকায় অপর এক যুবকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ নিয়ে পপির সাথে শুভর বিরোধ শুরু হয়। মূলত শুভর চাপে পপি দেশে আসতে বাধ্য হন। পপি ঢাকা বিমানবন্দরে পৌঁছালে শুভ তার এক বন্ধুকে নিয়ে প্রাইভেটকার যোগে ঢাকায় যান। তখন পপি প্রাইভেট কারে না এসে শুভকে নিয়ে আলাদাভাবে বাসে আসেন।
চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. আব্দুল ওয়ারিশ খান গতকাল বিকেলে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এটি পরিকল্পিত খুনের ঘটনা। তবে কী কারণে এই হত্যাকান্ড ঘটেছে সেটা আমরা খতিয়ে দেখছি। সুনির্দিষ্টভাবে এখনো আমরা কাউকে সন্দেহ করছি না। তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোকসানাসহ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, রোকসানার ব্যাপারে যেসব অভিযোগ তাও আমরা খতিয়ে দেখছি। যেসব তথ্য এসেছে তা যাছাই-বাছাই চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, খুনি কে বা কারা তা নিশ্চিত হতে আরও কিছু সময় লাগবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: লাশ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ