Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোলার প্যানেল ও মডিউলে সব ধরনের ভ্যাট অব্যাহতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে সৌরবিদ্যুতে ব্যবহৃত সোলার প্যানেল এবং মডিউল আমদানি ও উৎপাদনে শতভাগ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কোনো শর্ত ছাড়া এ ভ্যাট অব্যাহতি দিয়ে স¤প্রতি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্থাটি।
এনবিআর চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোশাররফ হোসেন ভ‚ঁইয়া স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১-এর ধারা ১৪-এর উপধারা ১ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সর্বশেষ পাসকৃত বাজেটের আদেশ সংশোধন করা হয়েছে। সংশোধনীতে এনবিআরের অব্যাহতিসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের টেবিল-২ (আমদানি ও উৎপাদন)-এর কলাম (১)-এ সোলার মডিউল ও প্যানেল যুক্ত করা হয়েছে।
এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হওয়ায় এবং সম্ভাবনাময় খাত বিবেচনায় সোলার ও মডিউলে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডসহ (ইডকল) বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দাবি ও সরকারের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের কারণে এ অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সোলার প্যানেল ব্যবহার করা গ্রামের দরিদ্র মানুষও এর সুফল পাবে বলে মনে করছেন এনবিআর কর্মকর্তারা।
ইডকলের হিসাব অনুযায়ী, দেশে ব্যবহূত বিদ্যুতের মাত্র ১ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদিত। ২০২১ সালের মধ্যে জ্বালানি মিশ্রণে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি থাকবে বলে সরকার প্রাক্কলন করলেও নানা বাধার কারণে লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে পড়ছেন উদ্যোক্তারা। বর্তমানে ৫০ লাখের মতো পরিবার সোলার প্যানেল ব্যবহার করছে। তবে ব্যাটারি ও প্যানেলের দাম বেশি হওয়ায় গ্রামীণ পর্যায়ে তা জনপ্রিয় করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় কর অবকাশ সুবিধাসহ এ খাতে ভ্যাট অব্যাহতি জরুরি বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।
সোলার প্যানেল ও মডিউলে ভ্যাট অব্যাহতির এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উদ্যোক্তারা। এ বিষয়ে সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (এসএমএমএবি) সভাপতি মূনাওয়ার মিসবাহ মঈন বলেন, সরকারের গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সাল নাগাদ আরো ৩০ লাখ পরিবারকে সৌরবিদ্যুৎ দেয়ার কথা। দেশে বর্তমানে বছরে সৌর প্যানেলের চাহিদা ৬০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে প্রায় ১০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর। তবে উদ্যোক্তাদের খরচ বেশি হওয়ায় মানুষকে কম মূল্যে তা সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউয়েবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ও সবুজ অর্থনীতির উন্নয়নে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি সৌরবিদ্যুৎ একটি সম্ভাবনাময় খাত। কার্বন নিঃসরণ কমাতে এবং টেকসই জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে পারে কার্যকর হাতিয়ার। তাই এ খাতকে বিকশিত করতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়া সময়ের দাবি ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ