পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল ও পাদুকার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) অব্যাহতি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতি ও বাংলাদেশ রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, যারা প্লাস্টিক ও রাবারের তৈরি হাওয়াই চপ্পল এবং প্লাস্টিক পাদুকা (জুতা, স্যান্ডেল) তৈরি করছে তাদের অধিকাংশই ছোট কারখানা। এমন দ্রব্য দিয়ে এসব পণ্য বানানো হয় যা বর্জ্য হিসেবে মানুষ ফেলে দেয়। কিন্তু এসব উপকরণ দিয়ে পণ্য বানিয়ে পরিবেশের উপকার করার পর এই শিল্পে ভ্যাট বহাল করা অনৈতিক।
বক্তারা বলন, এখন যদি প্রত্যেক স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয় তাহলে, কাঁচামাল সরবরাহ থেকে শুরু করে ভ্যাট দিয়ে ফ্যাক্টরি, বিক্রেতা হয়ে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছাতে জুতার মূল্য কত টাকা হবে তা চিন্তার বিষয়। আর ভ্যাট বহাল করে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আমাদের প্রতিযোগিতায় নামিয়ে আমাদের ধ্বংসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বাজেটে। বক্তারা আরো জানান, তাদের পণ্য যারা ব্যবহার করে তারা দরিদ্র, যার বেশিরভাগ কৃষক, শ্রমিক, রিকশাচালক, ঠেলাগাড়ীওয়ালা। তাই মানবিকতার কথা চিন্তা করে ক্ষুদ্র এ শিল্পকে বাঁচাতে ভ্যাট অব্যাহতি চান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বেলাল, বাংলাদেশ রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের সভাপতি জাহাঙ্গীর হাসেন বাবুল, সহসভাপতি শাকিল হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।