Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশে ইরানি সিনেমার শূটিং

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৭ এএম

ইরানি সিনেমা ‘শাবি কে মহ কমেল শোদ’ এর শূটিং বাংলাদেশে হচ্ছে। গত শুক্রবার হতে রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা কারওয়ান বাজারসহ ধানমন্ডির বিভিন্ন স্পটে সিনেমাটির শূটিং হয়। বাংলাদেশ অংশের সমন্বয়কারী মুমিত আল রশিদ বলেন, সিনেমাটির শূটিংয়ের জন্য বাংলাদেশের কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেছে নিয়েছেন পরিচালক। মুমিত আল রশিদ কয়েক বছর ধরেই ইরানে আছেন। সেখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন। পাশাপাশি ফজল ফিল্ম উৎসবের সঙ্গেও যুক্ত আছেন তিনি। এসএ টিভিতে প্রচারিত ইরানি সিরিয়াল ইউসুফ-জুলেখা, কারবালা কাহিনী, আসহাবে কাহাফ, ক্রুসেড-এর অনুবাদকও তিনি। এছাড়া বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। মুমিত জানান, ‘শাবি কে মহ কমেল শোদ’-এর বাংলা অর্থ ‘যে রাতে চাঁদ পূর্ণতা পেয়েছিল’। সিনেমাটির ২০ ভাগ কাজ বাংলাদেশে হবে। ঢাকার ধানমন্ডি, কারওয়ান বাজার, নিউমার্কেটে টানা আট দিন কাজ হবে। সিনেমাটির শূটিংয়ে বাংলাদেশকে বেছে নেওয়ার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পরিচালক নার্গিস অবইয়ারের সঙ্গে যখন গল্পটি নিয়ে কথা হচ্ছিল, তখন বাংলাদেশের এই লোকেশনগুলোর নাম প্রস্তাব করি। এরপর এসব জায়গার ছবি দেখিয়েছি। বাংলাদেশের অনেক জায়গার এখনো নিজস্বতা আছে। তাই প্রথম থেকে তিনি এখানে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলেন। বাংলাদেশে আসার পর তিনি অবাক হয়েছেন, যদিও শুরুর দিকে নাকি একটু কনফিউশনে ছিলেন। তার মতে, ইরানে অনেক কিছুই এখন আরোপিত। কারওয়ান বাজার দেখার পর পরিচালক বলেছেন, এটা ইরানে হলে বদলে ফেলা হতো। বৈজ্ঞানিক উপায়ে কিছু করে ফেলা যেতো, অথচ এই বাজারের নিজস্বতা এখনো বজায় রাখা হয়েছে। কামারপট্টি দেখে অবাক হয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের কিছু জায়গা ৪৭ বছর আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনই রয়ে গেছে। ছবির গল্পের এটা দরকার ছিল। এসব কারণে শূটিংয়ের জন্য বাংলাদেশকে বেছে নেওয়া হয়। বাংলাদেশের পাশাপাশি ‘শাবি কে মহ কমেল শোদ’র বাকি শূটিং হবে ইরান ও পাকিস্তানে। গল্পের প্রয়োজনে বাংলাদেশে এর শূটিং হচ্ছে। বাংলাদেশের পরই শূটিং হবে পাকিস্তানে। শাবি কে মহ কমেল শোদ একটি রোমান্টিক গল্পের সিনেমা। সিনেমাটি বাংলাদেশেও মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করছেন এলনাজ শাকেরদুস্ত, হুতান শাকিবা, ফেরেশতে সাদরে উরাফায়ি। ইরানি নির্মাতাদের মধ্যে অন্যতম নার্গিস অবইয়ার। গত বছর ৯০তম অস্কারের আসরে বিদেশি ভাষার ছবি বিভাগে প্রতিযোগিতা করেছে ইরান-ইরাক যুদ্ধ নিয়ে তার তৈরি ব্রেথ সিনেমাটি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছিলেন নার্গিস অবইয়ারের স্বামী মোহাম্মাদ হোসেইন কাশেমি। শাবি কে মহ কমেল শোদ সিনেমাটির প্রযোজকও তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ