Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ

ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, টিয়ার শেল নিক্ষেপ আহত ২০

নেত্রকোনা জেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে নেত্রকোনার পূর্বধলায় পাশাপাশি সমাবেশ করাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে পুলিশ সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।
পূর্বধলায় দীর্ঘদিন যাবৎ স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতিক) এর সমর্থক ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সমর্থক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন মালু ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজনের নেতৃত্বাধীন গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। দুটি গ্রুপ জাতীয় দিবস দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচী পৃথক পৃথক ভাবে পালন করে আসছে।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার এমপি বেলাল সমর্থকরা পূর্বধলা মধ্য বাজারের উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে প্যান্ডেল তৈরী করে সমাবেশের আয়োজন করে। অপর দিকে আহমদ হাসেন সমর্থকরা ২ শত গজ দূরে তাদের অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরী করে সমাবেশের আয়োজন করে। পাশাপাশি সমাবেশকে কেন্দ্র করে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করায় আগে থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুপুরে পাশাপাশি দুটি মঞ্চ থেকে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের বিরুদ্ধে পাল্টা পাল্টি বক্তব্য দেয়ার জের ধরে এরশাদ হোসেন মালু ও জাহিদুল ইসলাম সুজনের কর্মী সমর্থকরা বেলাল গ্রæপের মঞ্চের দিকে তেড়ে আসলে দু গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় সাধারণ সম্পাদকের মঞ্চসহ বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৮/১০ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে।
সংঘর্ষে এনটিভির সাংবাদিক ভজন দাস ও ভোরের কাগজের পূর্বধলার প্রতিনিধি তিলক রায় টুলু, পুলিশের এস আই শুভাশিস সহ উভয় গ্রæপের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়। আহতদেরকে স্থানীয় বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পূর্বধলা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন সম্পর্কে বিষেদগার করে বক্তব্য রাখায় আমাদের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি স্বপন চন্দ্র দাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোঃ লাক মিয়া ও যুবলীগ নেতা দৌলতসহ ৮ জন আহত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বলেন, আমাদের সমাবেশে প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক লোকজনের গণজমায়েত দেখে তারা হামলা চালিয়েছে। এতে ৬ মহিলাসহ ১০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বিল্লাল উদ্দিন দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া কথা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৮ রাউন্ড টিয়ারশেল ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দু’গ্রুপে সংঘর্ষ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ