বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নিরাপদ সড়ক এবং কোটা সংষ্কারের ন্যায়সংগত ও যৌক্তিক দাবিতে ঢাকাসহ দেশব্যাপি গড়ে উঠা আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেছেন ৯০’এর ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতারা। গতকাল (বুধবার) এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, প্রিয় সহপাঠীদের নির্মম মৃত্যুতে সড়কে জীবনের নিরাপত্তা বিধানের দাবিতে রাজধানী ঢাকায় এবং পর্যায়ক্রমে গোটা দেশে স্কুল, কলেজ এবং বিশ^বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে এসেছিলো। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃংখলভাবে সংগঠিত ও পরিচালিত শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দল-মত-শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে গোটা দেশবাসীর অকুন্ঠ সমর্থন ও সংহতি লাভ করেছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্ষমতাসীন মহল বরাবরের মত এবারও কোমলমতি শিশুদের নিরাপদ সড়কের দাবিতে গড়ে উঠা এই শান্তিপূর্ণ-সুশৃংখল প্রতিবাদ ও আন্দোলনকে সহানুভুতির সাথে বিবেচনা করে আন্দোলনকারীদের আস্থায় এনে বাস্তবসম্মত ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহন না করে চরম আতংক ও অস্থিরতা থেকে বলপ্রয়োগের নীতি গ্রহন করে। এরই ফলশ্রæতিতে সরকার আন্দোলন দমন করার জন্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর পুলিশ বাহিনী এবং পুলিশের ছত্রছায়ায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সরকার দলীয় সশস্ত্র মাস্তানদের লেলিয়ে দিয়ে এক ভীতিকর তান্ডবের পরিস্থিতি তৈরী করে। অসংখ্য শিক্ষার্থী আহত ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়। পুলিশী ছত্রছায়ায় গণমাধ্যম-সংবাদ কর্মীদের উপরও নির্দয় নিষ্ঠুর নির্যাতন চালানো হয়। নির্বিচারে অনেককেই গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের জামিন না দিয়ে দিনের পর দিন রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে। আন্দোলনে অংশগ্রহনের অভিযোগ এনে এখনো গ্রেফতার অভিযান চলছে। কোথাও কোথাও পুলিশ বøক রেইড দিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করছে গ্রেফতারের নাম করে ।
তারা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবির পাশাপাশি কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকে দমন করার জন্য ক্ষমতাসীন মহল হামলা, নির্যাতন, মামলা, গ্রেফতার, রিমান্ডে নেয়া ইত্যাদি বলপ্রয়োগের একই নীতি নিয়ে চলছে। কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিকে সরকার নিষ্ঠুর ভাবে দমন করার নীতি নিয়ে অগ্রসর হয়ে কেবল আন্দোলনের সাথে যুক্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থীই নয় গোটা দেশবাশীর বিরুদ্ধে কার্যতঃ যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে দমন-পীড়নের নীতি থেকে সরে এসে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণ পন্থায় নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের ন্যায্য দাবিদাওয়া মেনে নিয়ে অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত ছাত্র, শিক্ষক, সাংবাদিক, নাট্যকর্মী সহ সকলকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে ছাত্রসমাজ এবং দেশবাসীকে ভীতিকর শ^াসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন। নেত্ববৃন্দ বলেছেন জোর জবরদস্তি করে শেষ বিচারে কেউই ক্ষমতার মসনদকে রক্ষা করতে পারে না, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীকে সেটা ভুলে গেলে চলবে না। ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে আরও স্বাক্ষর করেছেন ৯০’র সাবেক ছাত্রনেতা আমান উল্লাহ্ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, ফজলুল হক মিলন, নাজিমউদ্দিন আলম, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি ও লুৎফর রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।