পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আগামী অক্টোবরে ছোট আকারের একটি সরকার গঠন করা হবে। আর এ সরকারের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকায় নির্বাচনকালীন সরকার কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করতে পারবে না। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক উন্নতির ধারা অব্যাহত রাখতে এর আগেই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর অনুমোদন কাজ শেষ করতে হবে। গতকাল সোমবার চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের কলাকৌশল নির্ধারণের লক্ষ্যে আয়োজিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে চলতি এডিপি বাস্তবায়ন কৌশল নির্ধারণ, নতুন প্রকল্প নির্দিষ্টকরণ ও অনুমোদনের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে ধারণা দিতে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এ সময় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা কমিশনের সব বিভাগের সদস্য ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চলতি অর্থবছরে দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণ ব্যাপক হারে বাড়বে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সভা শেষে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, আগামী অক্টোবরের যে কোনো সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি ছোট সরকার গঠন হবে। তখন শুধু দৈনন্দিন কাজ করা যাবে। নীতি নির্ধারণী কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না সেই সরকার। এ জন্য নির্বাচনী সরকার গঠনের আগেই নতুন উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের তাগিদ দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শুধু প্রকল্প নিলেই হবে না, বান্তবায়নের সক্ষমতা ও সম্ভাবনা বিবেচনা করে প্রকল্প নিতে হবে। এ বিষয়ে সচিবদের ধারণা দেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুস্তফা কামাল। তিনি ব্রিফিংয়ে আরো বলেন, যে কোনো জাতীয় নির্বাচনের বছরে তার আগের বছরের তুলনায় এডিপি বাস্তবায়নের হার কম। চলতি অর্থবছর এ ধারা থেকে বের হয়ে আসতে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়ন ধরে রাখতে হলে চলমান উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে। নির্বাচন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এ জন্য উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতির আকার বৃদ্ধির সাথে সঙ্গতি রেখে এফডিআই আসেনি। তবে এবার ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। চলতি অর্থবছর ৭০০ কোটি থেকে ৮০০ কোটি ডলার এফডিআই আসতে পারে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
সভায় জানানো হয়, চলতি ২০১৮-১৯ এডিপিতে বরাদ্দ থাকলেও অনুমোদন ছাড়াই ৭৭টি প্রকল্প রয়েছে। অনুমোদন কাজ শেষ না হলে এ সব প্রকল্পের অর্থ ব্যয় করা যাবে না। এ অবস্থায় এ সব প্রকল্পের অনুমোদন কাজ দ্রুত এগিয়ে নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে সভায়।
সূত্র মতে, মেয়াদ উত্তীর্ণ ১৫০টি প্রকল্প এডিপিতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৬৫টি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সভায় অবশিষ্ট ৮৫টি প্রকল্পের বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।