Inqilab Logo

শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

পাবনার সড়ক যেন মরণফাঁদ

পাবনা থেকে মুরশাদ সুবহানী | প্রকাশের সময় : ১৪ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

পাবনায় সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। চলাচলের অযোগ্য এই সড়কগুলো একসময় চলাচলযোগ্য থাকলেও দুর্বল কাজ, ফাঁকিবাজি করে অধিক মুনাফা অর্জন করার লোভে কাজ করায় সড়কগুলো টেকসই হয়নি। বছর না ঘুরতেই বেহাল দশা হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে সড়কগুলো যানবাহন, মানুষজনের চলাচলের অনুপোযোগী। রাস্তার খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে পরিস্থিতি আরো নাজুক করে তুলেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা সফরের আসার আগে তিনি যে সড়কপথ দিয়ে আসতে পারেন, সেসব সড়কের কিছু স্থান সড়ক ও জনপথ বিভাগ সংস্কার করে বটে। পাবনার সড়কগুলো নানা দফতরের নিয়ন্ত্রণে বিভক্ত। পৌরসভা, সওজ, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীন এলজিইডির জেলা পরিষদের সদর উপজেলা পরিষদের আয়তাধীন। প্রবাদে আছে ‘ভাগের মা গঙ্গা পায় না।’ রাস্তার অবস্থাও একই রকম। পাবনা শহরের সাবেক পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের পাশ দিয়ে বাংলাবাজার হয়ে চলে গেছে প্রায় ছয় কিলোমিটার সড়ক লঞ্চঘাট পর্যন্ত। এই ঘাট পার হলেই কুষ্টিয়া জেলা তারপর শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথের বাড়ি। লঞ্চঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ সড়ক পাবনা জেলার আয়তাধীন। এই সড়কের রয়েছে নানা ভাগে বিভক্ত। সাবেক পলিটেননিক থেকে বাংলাবাজার মোড় পর্যন্ত পৌরসভার রাস্তা, তারপর চরকোশাখালী দোগাছি ইউনিয়নের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া সড়কটি আগে জেলা বোর্ডের অধীনে ছিল। এখন এলজিইডিই আয়তাধীন। এই সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার, নতুন করে নির্মাণ না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। চর কোশাখালী থেকে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ শহরে আসেন কাজ-কর্মে, কলেজে আসে শিক্ষার্থীরা। শহুরে মানুষজন বরীন্দ্র কুঠিবাড়ি দেখতে যান এই পথে। পাবনার লালন শাহ সেতু হয়ে কুষ্টিয়া জেলা হয়ে রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি যেতে অনেক পথ পারি দিতে হয়। সেই কারণে এই জেলার মানুষজন এই পথেই যায়।
এলাকার সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, এলাকার এখন অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো। রাত-বিরাতে চলাচলে আগের মতো তেমন দুষ্কৃতকারীদের খপ্পরে পড়ার তেমন ভয় নেই। ছিনতাই কমেছে। এই সড়কটি সংষ্কার ও তৈরি করা হচ্ছে না। দিনে দিনে মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলেছে। আতিয়ার, মতিয়ারসহ অনেকেই জানালেন, ভাগের মা গঙ্গা পায় না, সেই কারণে এই রাস্তাও ঠিক হয় না। অপরদিকে, শহরের শালগাড়িয়া মহল্লার ৮ নং ওয়ার্ডের শালগাড়িয়া গোরস্থান মোড় থেকে খাজার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান পানি জমে যায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ