Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমলাপুরে জন স্রোত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অগ্রিম টিকিট বিক্রির পঞ্চম দিনে গতকাল কমলাপুর স্টেশনে মানুষের ঢল নেমেছিল। আগের দিন দুপুর থেকে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সকালে সেই লাইন স্টেশন পেরিয়ে রাস্তা হয়ে একেবারে মূল রাস্তায় গিয়ে ঠেকে। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে স্টেশনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। পুরো স্টেশনে ছিল জন স্রোত। গতকাল সোমবার বিক্রি হয়েছে ঈদের আগের দিন (২১ আগস্ট) যাত্রার টিকিট। সে হিসাবে ঈদের আগে ওই দিনই ঘরমুখি মানুষের শেষ যাত্রা। এ কারণে ভিড় আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন রেল কর্মচারিরা।
ভুক্তভোগিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল ভিড়ের কারণে অনেকেই টিকিট না পেয়ে খালি হাতে ফিরেছেন। আগের দিন বিকালে লাইনে দাঁড়িয়েও এসির টিকিট পাননি। আর কেবিন- সে তো বহু দূর।
সরেজমিনে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, ২১ আগস্টের টিকিট পাওয়ার জন্য কেউ কেউ আগের দিন দুপুর থেকে, কেউ বিকেল থেকে আবার কেউ সন্ধ্যা থেকে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। বদরুল নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি আগের দিন দুপুরে এসেছেন। আর টিকিট পেয়েছেন সকাল ১০টায়। বদরুলের সতো আরও অনেকেই আগের দিন দুপুর থেকে লাইনে অপেক্ষা করেছেন। লাইনে দাঁড়িয়েই কেটে গেছে রাত।
আবার কেউ কেউ লাইনে সিরিয়াল দিয়ে সকালে সেই সিরিয়াল ২৫০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকায় বিক্রিও করেছে। জুনায়েদ নামে রাজশাহীর এক যাত্রী জানান, তিনি সকাল ৮টায় এসে সামনের দিকের সিরিয়াল তিনশ’ টাকায় কিনেছেন। যদিও লাইনের সামনের দিকে থেকেও এসির টিকিট পাননি।
এদিকে আজ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় সিরিয়াল বিক্রি হচ্ছে। অনেকে আগে থেকে দাঁড়িয়ে পরে আসা লোকদের কাছে সিরিয়াল বিক্রি করছেন।
অনেকেরই অভিযোগ এসি টিকিট না পাওয়ার। টিকিট দেওয়া শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যে জানানো হয়, এসি টিকিট বিক্রি শেষ। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ টিকিট প্রত্যাশীরা। তারা বলেন, আগের দিন দুপুর বা সন্ধ্যা থেকে দাঁড়িয়েও যদি টিকিট না পাই, তাহলে এই কষ্ট করে লাভ কি?। টিকিটে জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন জানান, আটজনকে টিকিট দেওয়ার পর কাউন্টার থেকে জানানো হয়, এসি টিকিট শেষ। অর্থাৎ একটা ট্রেনের সর্বোচ্চ ৩২ টি এসি টিকিট যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত বগিসহ একেকটা ট্রেনের এসির আসন থাকছে কমপক্ষে দেড়শ’টি।
টিকিট বিক্রির সার্বিক বিষয় নিয়ে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সীতাংশু চক্রবর্তী বলেন, সকাল থেকেই প্রতিটি কাউন্টারের সামনেই মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যাচ্ছে। শেষ দিনের টিকিটের জন্য ভিড় বেশি।
স্টেশন ম্যানেজার জানান, ট্রেনের মোট টিকিটের ৬৫ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে কাউন্টার থেকে। বাকি ৩৫ শতাংশের ২৫ শতাংশ অনলাইন ও মোবাইলে। ৫ শতাংশ ভিআইপি ছাড়াও রেল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫ শতাংশ। যদিও সাধারণ যাত্রীরা এটা মানতে নারাজ। কাউন্টারে ৬৫ শতাংশ টিকিট দেয়া হলে ৮জনের পর এসির টিকিট শেষ হওয়ার কথা নয়। আবার অনলাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চেষ্টা করেও টিকিট মেলে না-এমন অভিযোগ করেছেন অনেকেই। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কমলাপুর

৬ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ