রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী জয়মনিরহাট কাস্টমসের সিন্ডিকেটের কারণে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
জানা যায়, করিডোর পদ্ধতি বন্ধ হওয়ার পরও উপজেলার বাগভান্ডার, সোনাহাট, ধলডাঙ্গা, ময়দান, শালঝোড়, ভাওয়ালগুড়ি, কেদার সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে গরু পাচার করছে চোরাকারবারী। বিজিবির টহলে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে ভারত থেকে আনা গরু আটক করা হলেও জয়মনিরহাট কাস্টমসের একটি সিন্ডিকেটের কারণে সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করেই প্রচারণা ছাড়াই সিন্ডিকেটের পাতানো নিলামে নামমাত্র মূল্যে বিক্রি দেখিয়ে পরে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করে লাভের টাকা ভাগ করে নিচ্ছে কাস্টমস ও সিন্ডিকেটের লোকজন। ফলে প্রতি নিলামে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। চলতি আগস্ট মাসে বাগভান্ডার, দিয়াডাঙ্গা ও ধলডাঙ্গা বিজিবি যথাক্রমে ৭, ৮ ও ১৯ টিসহ মোট ৩৪টি গরু আটক করে। যার আনুমানিক মূল্য ১৮ লাখ টাকা। গত ৩ আগস্ট কাস্টমসের সিন্ডিকেট বাগভান্ডার বিজিবি ক্যাম্পে ছয়টি বড় গরু মাত্র এক লাখ ২৭ হাজার টাকায় এবং কাস্টমস ও সিন্ডিকেটের মতানৈক্যের কারনে ৫ আগস্ট ধলডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে সাতটি মাঝারি গরু নিলামে ভ্যাটসহ তিন লাখ ১১ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি হয়। আবার সিন্ডিকেট করে ৬ আগস্ট সোমবার কোনো প্রকার প্রচারণা ছাড়াই দিয়াডাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পে আটক ১৯টি গরুর মধ্যে ৯টি বড় গরু ভ্যাটসহ দুই লাখ ৬০ হাজার ২৯৫ টাকা নিলামে আলতাফ হোসেন নামে একজন কিনে ঐ স্থানেই চার লাখ ৫২ হাজার টাকায় জনৈক আবু হানিফের নিকট বিক্রি করে । একটি সূত্র জানায়, কম মূল্যে নিলাম দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রির পর টাকা কাস্টমস ও সিন্ডিকেট সদস্যদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হয়। কাস্টমস কর্তৃক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পাতানো নিলামে গরু বিক্রির কারণে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ বিষয়ে জয়মনিরহাট শুল্ক গুদাম কর্মকর্তা নীহার রঞ্জন বারুরীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। পরে কাস্টমস সুপার সিদ্দিকুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এলাকাবাসীর দাবি দীর্ঘদিন থেকে কাস্টম সুপার সিদ্দিকুর রহমান ও নীহার রঞ্জন বারুরী কোনো প্রচারণা ছাড়াই বিভিন্ন ক্যাম্পে এমনকি রাতের আধারেও নিলাম দেয়ায় সিন্ডিকেট ব্যতীত কেউ অংশ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে না। সরকারি রাজস্ব বাড়াতে অনতি বিলম্বে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে খোলা নিলামের ব্যবস্থা করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।