পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শুল্কায়ন নিষ্পত্তি এবং কাস্টমস ছাড়পত্র ছাড়াই চুপিসারে বিশ^খ্যাত রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের ২৭ কোটি টাকা দামের একটি গাড়ি সরিয়ে নেয়ার ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। গতকাল বৃহস্পতিবার কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম স্বাক্ষরিত এ নোটিশ পাঠানো হয় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ-হংকং যৌথ মালিকানাধীন জেড এন্ড জেড ইনটিমেটসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। নোটিশে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে শুল্কায়ন এবং কাস্টমস ছাড়পত্র ছাড়াই অত্যাধুনিক মডেলের বিশ^খ্যাত ব্র্যান্ডের রোলস রয়েস গাড়ি সরিয়ে নেয়ার অভিযোগ আনা হয়। গাড়িটি সরিয়ে নেয়ার মাধ্যমে কাস্টম আইনে সংশ্লিষ্ট ধারা লঙ্ঘন, চোরাচালানের অপরাধ সংঘটন এবং শুল্কফাঁকির অভিযোগ আনা হয়। যা দণ্ডনীয় অপরাধ বলে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে আগামি ১০ কর্মদিবসের মধ্যে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে উপযুক্ত জবাব দিতে বলা হয়েছে। আর তা না হলে কাস্টম আইনে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে নোটিশ ইস্যু করার বিষয়টি নিশ্চিত করে কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার মো. মিজানুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে কাস্টমস আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় কারণ দর্শানো নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। নোটিশের জবাব পেলে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরীফ জহিরের বারিধারার বাড়ি থেকে ৪ জুলাই গাড়িটি আটক করা হয়। রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের ২০২১ সালের কালিনান এসইউভি মডেলের গাড়িটি ছয় হাজার ৭৫০ সিসির বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানান, গাড়িটি ওই প্রতিষ্ঠানের নামে ২৭ এপ্রিল আমদানি করা হয়। ১১ মে চট্টগ্রাম বন্দরে গাড়িটি খালাস করা হয়। পরদিন ১২ মে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চট্টগ্রাম ইপিজেডে তাদের কারখানা প্রাঙ্গণে গাড়িটি নেয়া হয়। সেখানে গাড়িটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করেন কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা। এরপর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শুল্কায়নের জন্য কাস্টম হাউসের পক্ষ থেকে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে কাস্টম হাউস তাদের কাছে আরও কিছু ডকুমেন্ট দাবি করে।
৫ জুলাই ওইসব ডকুমেন্ট জমা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। ৬ জুলাই গাড়িটি শুল্কায়নের বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায় কাস্টমস হাউস। কিন্তু তার আগেই ১৭ মে গাড়িটি ইপিজেড থেকে ঢাকার বারিধারায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বিষয়টি কাস্টমস এবং শুল্ক গোয়েন্দা কেউই জানতো না। গাড়িটি ইপিজেড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এমন খবর পেয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যুগ্মপরিচালক মো. শামসুল আরেফিন খানের নেতৃত্বে একটি দল বারিধারায় ওই প্রতিষ্ঠানের এমডির গ্যারেজে গাড়িটির সন্ধান পান।
অধিদফতরের তরফে বলা হয়, গাড়িটি এসআরও (স্ট্যারুচেরি রেগুলেটরি অর্ডারে) এবং কাস্টমস মূসক সিপিসি (কাস্টমস প্রসিডিউর কোড) ১৭০ এর আওতায় আমদানি করা। এই আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসারে দুই হাজার সিসি পর্যন্ত গাড়ি আমদানি শুল্কমুক্ত হবে। গাড়ির বনেটে থাকা স্টিকারে গাড়িটি ছয় হাজার ৭৫০ সিসি বলে উল্লেখ আছে। আটক গাড়িটি ২০০০ সিসি’র বেশি হওয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্য না হলে সরকার ২৪ কোটি টাকা রাজস্ব হারাবে। এ ধরনের গাড়িতে শুল্ককর দিতে হয় শুল্কায়িত মূল্যের আট গুণ। স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল ধরনের এ গাড়ি উৎপাদনের সাল ২০২১। মডেলের নাম কুলিনান এসইউভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।