Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাস চালাচ্ছিল হেলপার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িকে ধাক্কা চালক-হেলপার রিমান্ডে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের গাড়িতে ধাক্কা দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত নিউ ভিশন পরিবহনের চালক মানিক মিয়া ও হেলপার ইব্রাহীম খলিল ইমনকে ৪দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শিক্ষার্থীদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর রাজধানীসহ সারাদেশে চলমান ট্টাফিক সপ্তাহের মধ্যেই শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শেরেবংলা নগরের কলেজ গেইট যাত্রী ছাউনির সামনে বাসটি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গাড়িকে ধাক্কা দেয়। ওই সময় মন্ত্রী গাড়িতে ছিলেন। গতকাল শনিবার তাদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই রুহুল আমীন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শেরেবাংলা নগর থানার এসআই রুহুল আমিন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শুক্রবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল রোগী দেখতে শেরেবাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এসেছিলেন। রোগী দেখে তিনি নাখালপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন। স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর গাড়িটি হাসপাতালের সামনে কলেজ গেটের বিপরীতে গেলে পেছন দিক থেকে নিউ ভিশন পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১১-৭৪৭৫) ধাক্কা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে বাসটি জব্দ করা হয়। বাসটি মিরপুর থেকে মতিঝিলের দিকে যাচ্ছিল। তখন হেলপার ইব্রাহীম খলিল ইমন (২২) বাসটি চালাচ্ছিল। তার কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। ঘটনার পর চালক মানিক মিয়া ও হেলপার ইব্রাহীম খলিল ইমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক এখলাসুর রহমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার দৈনিক ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, এটি একটি দুঘর্টনা। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
ট্টাফিক পশ্চিম বিভাগের ডিসি লিটন কুমার সাহা বলেন, বাসের ধাক্কায় মন্ত্রীর গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ৫ আগস্ট থেকে সারাদেশে ট্রাফিক সপ্তাহ চলছে। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ডিএমপি কমিশনার ঘোষনা দিয়ে ট্টাফিক সপ্তাহ আরো ৩ দিন বাড়িয়েছেন। গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হলে রাজধানীসহ সারাদেশে ৯ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সড়কে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা অবতীর্ণ হয় পুলিশের ভূমিকায়। শুরু করে চালকের লাইসেন্স ও যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা। সেখানে দেখা যায়, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য ও আইন প্রণেতারাও অনেক ক্ষেত্রে আইন মানছেন না। শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসের মধ্যে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ ঘোষণা করে পুলিশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ