Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সড়ক আইনের খসড়া পরিবর্তনের দাবি রোড সেইফটি ফাউন্ডেশনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০১ এএম

সড়ক পরিবহন আইনের খসড়ায় সরকার পরিবহন মালিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রোড সেইফটি ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন। গতকাল বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘গণপরিবহনের অব্যবস্থাপনা ও সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ পর্যালোচনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন সংগঠনটি এ দাবি করেন। এ সময় সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১৬ দফা দাবি তুলে ধরেন ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ শরীফ।
তিনি বলেন, এ আইনে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়গুলো তেমন গুরুত্ব পায়নি। মোদ্দ কথা হল পরিবহন মালিক, শ্রমিক এবং যাত্রীসহ সাধারণ জনগণের স্বার্থ সুরক্ষা হয়নি। মূলত মালিক পক্ষের স্বার্থকেই আইনে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তিনি চালকদের সাজার পরিমাণ বৃদ্ধিসহ চালকদের নিয়োগ নীতিমাল ও পেশাগত সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, অন্য পেশার চাইতে পরিবহন চালক-শ্রমিকরা বেশি সময় কাজ করেন। এ পেশাটি একদিকে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অন্যদিকে আইনে নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা না থাকায় আরও সমস্যা হবে। পেশাটির সাথে মানুষের জীবন-মরণ ও হতাহতের বিষয় জড়িত থাকায় অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে চালকের পাশাপাশি মালিককেরও শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে তিনি মত দেন।
দেশের পরিবহন শ্রমকিরা অধিকার সচেতন নয় মন্তব্য করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তারা নিয়োগপত্র, বেতন কাঠামো, কর্মঘণ্টা নির্ধারণ, বিশ্রামাগার, সমগতিভিত্তিক সড়ক লেন বা বিভাজক তৈরির দাবি না জানিয়ে শুধু জেল-জরিমানার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। যার কারণে সড়ক পরিবহনে নৈরাজ্য বেড়ে চলেছে।
শরীফ বলেন, পরিবহন মালিক সমিতি ও পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে সবসময়ই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা থাকেন। গণপরিবহন ব্যবস্থায় সংস্কার ও শৃঙ্খলা ফেরাতে কোন উদ্যোগ নিলেই তারা একজোট হয়ে প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করে দেয়। কোনো কোনো সময় তারা জনসাধারণকেও জিম্মি করে ফেলে। দেশের সড়ক-পরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ নৈরাজ্যের দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
বক্তরা বলেন, সারা দেশে বিআরটিএ’র ৮২৩টি পদ থাকলেও লোকবলের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশো। অন্যদিকে ২০ ধরনের ৩৬ লাখ যানবাহন আছে। ফলে বিআরটিএ’র একজন কর্মীকে ৫ হাজারের বেশি গাড়ির তদারকি করতে হয়। তারা প্রাইভেটকার, রিকশার জন্য আলাদা লেইন এবং বিকল্প ও সাশ্রয়ী পরিবহন হিসেবে রেল, নৌযানের পরিসর বাড়ানোর আহ্বান জানান। এছাড়া বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানের পদমর্যাদা যুগ্ম সচিব থেকে সচিব পর্যায়ে উন্নীত করার আহ্বান জানান।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়–য়ার সঞ্চলানায় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী, ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ তারেক, অর্থনীতিবিদ এম এস সিদ্দিক, বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের শিক্ষক শাহনেওয়াজ হাসানাত ই রাব্বি বক্তব্য দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ