রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শা ও বেনাপোল অঞ্চলে মহাসড়কে যাত্রীবাহী নছিমন, করিমন ও ভটভটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে এ অঞ্চলের মানুষ। অন্যদিকে এসব যানবাহনে ইট-বালু, গাছের বড়বড় গুড়ি নিয়ে বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনা। ফলে অকালে ঝরে যাচ্ছে তরতাজা প্রাণ। কাউকে আবার সারা জীবনের মতো বরণ করতে হচ্ছে পঙ্গুত্ব। এ ছাড়া এসব যানবাহনের বিকট শব্দের কারণে ঘটছে শব্দদূষণও। ফলে পথচারীসহ জনসাধারণকে সার্বক্ষণিক আতঙ্কের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। কিন্তু চোখের সামনে এই অবৈধ যানের অবাধ চলাচল দেখেও অদৃশ্য কারণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না প্রশাসন। ফলে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এসব নছিমন, করিমন বিভিন্ন কিন্ডার গার্ডেনের কোমলমতি শিশুদের স্কুলের যাওয়া-আসার কাজেও বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।
দেশের কৃষি উন্নয়ন তথা চাষাবাদের কাজে ব্যবহার করার জন্যই সরকার বিদেশ থেকে ট্রাক্টর আমদানি করার অনুমতি দেয় নামমাত্র শুল্কে। কিন্তু চাষাবাদের জন্য আমদানিকৃত এইসব ট্রাক্টর অবৈধ ট্রলি-ট্রাক বা নানা পরিবহনে রূপান্তরিত করে মানুষের চলাচল উপযোগী করে সড়কে চলাচল করছে।
আবাদি জমি ছেড়ে দাবড়ে বেড়াচ্ছে মহাসড়কসহ শহর ও বাজার কেন্দ্রিক সড়কগুলোতে। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা না থাকায় শিশু-কিশোররাও অদক্ষভাবে এসব ট্রাক্টর অবাধে চালাবার সুযোগ পাচ্ছে। ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দুর্ঘটনা। সড়ক মহাসড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা হয় তার অধিকাংশ ঘটে ট্রাক্টর, ট্রলি, নসিমন, করিমন ও ভটভোটির কারণে।
নাভারন হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর শতাধিক মানুষ মারা যায় এ ধরনের অবৈধ যানবাহনে। পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন হাজার হাজার মানুষ। বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা দ্বিগুণ হতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
বেপরোয়া গতি ও কান ফাটা আওয়াজে চলাচলকারী এসব যানবাহনের কারণে শহরের পাশাপাশি গ্রামগুলোতে ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণ দেখা দিয়েছে। শব্দ ও বায়ুদূষণ এখন গ্রামের প্রতন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে দিয়েছে এসব দানব বাহনগুলো। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অবৈধ এই ট্রলি-ট্রাক্টর, নসিমন, করিমন সংখ্যা কত কোনো তথ্য নেই। তবে প্রতিনিয়ত শতশত ট্রলি, ট্রাক্টর, নসিমন, করিমনসহ অবৈধ যানবাহন সড়ক-মহাসড়ক থেকে শুরু করে গ্রামের অলিগলি সড়কেগুলোতে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, হাইওয়ে পুলিশসহ থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব ট্রলি, ট্রাক্টর সড়কে চলাচল করার কারণে জনসাধারণের প্রতিরোধের মুখেও তা বন্ধ হচ্ছে না। বেশ কিছু ট্রাক্টর মালিকের সাথে কথা হলে তারা জানান, সংশ্লিষ্টদের মাসোহারা দিয়েই এসব ট্রলি, ট্রাক্টর, নসিমন, করিমন সড়ক-মহাসড়কে চালাচ্ছেন তারা।
নসিমনের চালক আ. রহিম জানান, গরিব মানুষ পেটের দায়ে এ ধরনের যান চালিয়ে সংসার চালাই। মাঝে মধ্যে পুরিশ ধরলে অনুনয় বিনিময় করে রক্ষা পাই।
নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পলিটন মিয়া বলেন, অবৈধ এ যানের চলাচল প্রতিরোধে প্রতিদিনই বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। যারা ধরা পড়ছেন তাদের বিরুদ্ধে জরিমানা ও মামলা করাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি তারেক মাসুদ বলেন, সড়কে বেআইনিভাবে চলাচল করা যানবাহন সম্পর্কে বলেন, আমরা যতটুকু সম্ভব অভিযান পরিচালনা করে ট্রাক্টর মালিক ও চালকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি। শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল জানান, সড়ক মহাসড়ক নিরাপত্তার জন্য এসব অবৈধ যানের চলাচল প্রতিরোধে আমরা কাজ করছি। বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। যারা ধরা পড়ছেন তাদের যান আটকে রাখা ও জরিমানা করাসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।