পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে সা¤প্রতিক আন্দোলনে আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের শহিদুল আলমের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। পোস্টে তিনি বলেন, শহিদুল আলমের দেয়া মিথ্যা পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পুলিশের ওপর ও আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়। এতে একাধিক পুলিশ সদস্য ও আওয়ামী লীগ কর্মী আহত হন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় তিনি নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে এই পোস্ট দেন। এসময় আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মী চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাপ্পি কি ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য না?’
জয়ের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে দেওয়া স্ট্যাটাসটি হলো
‘ধরুন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় ও সফল ব্যক্তি হিসেবে আন্দোলনের সময় আমি ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলতাম আন্দোলনরত তরুণরা আমাদের কর্মীদের একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আক্রমণ করে হত্যা করেছে এবং সেই কথার প্রেক্ষিতেই আমাদের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সেই বিশ্ববিদ্যালয়টি আক্রমণ করতো। তাহলে কি বলা যেত আমি সহিংসতা উসকে দিয়েছি? নাকি আমি বাকস্বাধীনতার অধিকার দ্বারা সুরক্ষিত থাকতাম? আমার কোনো সন্দেহ নেই আজ যেই সুশীল সমাজ, বিদেশি বন্ধুরা ও সাংবাদিকরা শহিদুল আলমের পক্ষে কথা বলছেন, তারা তখন ঠিকই বলতেন প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সহিংসতা উসকে দিয়েছেন। শুধুমাত্র সফল ও জনপ্রিয় হওয়ার জন্যই কি আজ শহিদুল আলমকে আইনের ঊর্ধ্বে রাখার কথা বলা হচ্ছে? তাহলে কি আমিসহ সকল সফল ও জনপ্রিয় মানুষই আইনের ঊর্ধ্বে? আমি যে উদাহরণ দিয়েছি, শহিদুল আলম ঠিক তাই করেছেন। তার দেয়া মিথ্যা পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পুলিশের ওপর ও পার্টি অফিসে হামলা চালায়। একাধিক পুলিশ সদস্য ও আমাদের কর্মীরা আহত হন। আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি নামের আমাদের এক কর্মী তার দৃষ্টিশক্তি চিরতরে হারিয়েছেন। বাপ্পি কি ন্যায়বিচার পাওয়ার যোগ্য না?’ এছাড়া রাত ৮টার দিকে একই বিষয় নিয়ে তিনি টুইটারেও টুইট (বার্তা দেওয়া) করেছেন। সেখানেও তিনি উল্লেখ করেছেন, শহিদুল আলমের দেওয়া মিথ্যা পোস্ট ও অভিযোগের কারণেই শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং পুলিশের ওপর ও আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আরাফাতুল ইসলাম বাপ্পি নামের আওয়ামী লীগের এক কর্মী চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। টুইটে বাপ্পির জন্য ন্যায়বিচারের কথাও বলেছেন সজীব ওয়াজেদ জয়।
প্রসঙ্গত, আলোকচিত্রী ও দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে গত রোববার রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়। মিথ্যা তথ্যসংবলিত বিভিন্ন উসকানিমূলক ও অপরাধমূলক লেখা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে স¤প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।